স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। এই ধারাবাহিকে এখন দেখা যাচ্ছে জমজমাট পর্ব। মিত্র বাড়িতে এখন দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর পর্ব। আর এই পর্বেই দেখা গেছে মৌ নির্ঝর আবারও কাছাকাছি যা দেখে খুশি হয়েছেন অনুরাগীরা। কিন্তু অনুরাগীরা খুশি হলেও, একজন খুশি হয়নি। সেটা হল বীথিকা মিত্র। ডোডোর মা।
ডোডো আর চাঁদনীর প্রেমের সম্পর্কে ইতি হয়ে, নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়। ডোডো আর মৌয়ের সম্পর্ক। কিন্তু এই সম্পর্কের শুরু থেকেই বীথি মানতে পারেননি সম্পর্কটাকে। মৌকে এখনও পর্যন্ত সহ্য করতে পারেনি বীথি। কখনও ভাত ফেলে দিয়েছে আবার কখনও দেখা গিয়েছে দুজনকে একসাথে থাকতে দেবেনা বলে ঘরের পাখা এসি খুলে নিয়েছে। আর এর ফলে এক নির্দোষ ব্যক্তি কাজ হারিয়েছে।
মৌ এসব কথা শুনে ফেলে। কিন্তু মৌকে এত অবহেলা করার সত্ত্বেও বীথির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মৌ। বীথির জীবনে রয়েছে অনেক না পাওয়ার বেদনা। অনেক কিছুই সে জীবনে পায়নি। সারাজীবন সে সংসারের দায়িত্ব সামলিয়ে এসেছে। আর সেই দায়িত্বের ভারে নিজের জীবন টাও ভারাক্রান্ত করে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, অন্যের ভালোও তিনি সহ্য করতে পারেন না।
অনেক ধারাবাহিকে দেখা যায় তাঁর শাশুড়ির কু-মতলবের সামিল হন তার বৌমা। কিন্তু এই ধারাবাহিকে মৌ একেবারে অন্য। খারাপ যুদ্ধে সামিল হননি বরং তাঁকে বুঝিয়েছে। সে বোঝাতে চেয়েছে, নিজে খারাপ থাকার দায়টা নিজেকেই নিতে হয়। অন্য কারোর উপর দিলে হয়না। নিজেকে তো নিজেই ভালো রাখতে হয়। তাদের সাথে সব ভুল হয়েছে বলে তারা কি খারাপ আছে।
বীথি মাসিকে বুঝতে হবে তাঁর পরিস্থিতি তাঁকেই বদলাতে হবে। তাঁর আর কাউকে প্রয়োজন নেই। এই জিনিসটা যেদিন বীথি মাসি নিজে বুঝবে, সেদিনই সব সমস্যার সমাধান হবে। এই এপিসোডের মধ্যে দিয়ে বোঝা গেল, কখনো মিথ্যাটা লুকানো যায়না সত্যি হয়ে বেড়িয়ে আসে। আর এই সত্য যখনই সামনে আসে, তখন যে খারাপ করতে চায়, সেই খারাপ থাকে। আর এটা বীথি চরিত্রের মধ্যে দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে।