টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন ঋতা দত্ত চক্রবর্তী (Rita Dutta Chakraborty)। কখনো তিনি নায়িকা, আবার কখনো জাঁদরেল খলনায়িকা, আবার কখনো মমতাময়ী মা-কাকিমা, আবার দেখা গেছে জাঁদরেল শাশুড়ির ভূমিকায়। এই সকল চরিত্রের ভিড়েও অভিনেত্রীর আক্ষেপ থেকে গেছে। ভালো চরিত্রের আক্ষেপ, আর সেই কারণেই এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে পর্দায় এখন আর দেখা মেলেনা।
শৈশব কেটেছে বালুরঘাটে। পড়াশোনা সূত্রেই কলকাতায় আসেন। যাদবপুরে পড়াকালীন কলকাতার থিয়েটার জগতের অন্যতম অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্রের কাছে শুরু হয় অভিনয়ের হাতেখড়ি। এরপর ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’র স্কলারশিপ অর্জন করেন ৷ শুধু অভিনয় শিখেছেন তা নয়, জগন্নাথ বসুর কাছে কন্ঠ প্রশিক্ষণ নেন। আর তাই তো শোনা গেছে আকাশবানীর নানা জনপ্রিয় শ্রুতি নাটকে।
ছোটোপর্দায় প্রথম ডেবিউ ইন্দর সেনের পরিচালনায়, ‘জননী’ ধারাবাহিকে। দেখা গিয়েছে, মা, দুর্গা, তুমি রবে নীরবে, এক আকাশের নিচে, কুসুমদোলা, পুণ্যিপুকুর, অন্দরমহল, কোড়া পাখি, দেশের মাটি, উড়ন তুবড়ি সহ নানান ধারাবাহিকে। শুধু ছোটো পর্দায় নয়, বড় পর্দাতেও তিনি সফল। নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘শিল্পী’-তে অভিনয় দিয়ে শুরু করেছিলেন বড়পর্দার যাত্রা। এরপর একে একে, আলো, ক্রান্তিকাল, হাইওয়ে সহ আরও অনেক সিনেমায় দেখা গেছে।
এই বর্ণময় চরিত্রের অভিনেত্রীর মনে রয়েছে নানান আক্ষেপের সুর। তাঁর কথায়, ‘অনেক বড়, বড় ডিরেক্টর, যে সমস্ত ডিরক্টরদের সাথে আমরা কাজ করেছি, নব্যেন্দু চ্যাটার্জী, তরুণ মজুমদার যারা টেলিফিল্মের ভালো ভালো ডিরেক্টর তারা ছাড়াও এই সময়ের যারা ডিরেকশন দিচ্ছেন ছবির কাজে বিশেষত, মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে তারা যদি বলতেন, তাহলে খুব চেষ্টা করতাম।
ছবিতেতো অনেকটা রিয়েলিটির কাছাকাছি যাওয়া যায়। সেটা সিরিয়ালে অনেক সময় সুযোগ থাকেনা।’ এটাই অভিনেত্রীর আক্ষেপ। এই অল্প চাহিদাকে তিনি খুশি। অভিনয়কে তিনি এতটাই ভালোবাসেন, ওটাই তাঁর ধ্যান জ্ঞান। অভিনয় তাঁর কাছে প্রতিদিনের রুটিং। অভিনয়ের কাজ যখন থাকে, তখন সংসার করতে, গাছের পরিচর্যা করতে, পূজা করতে সবটাই ভালো লাগে, কিন্তু অভিনয়ের কাজ যখন থাকেনা, তখন কিছুই তাঁর ভালো লাগেনা।