‘সতীন’ নামক শব্দটাই আমরা সকলেই কম বেশি ভয় পায়। এই শব্দটাতে আমাদের গা কাঁটা দিয়ে ওঠে। একবার যার সংসারে চলে আসে, সেই সংসার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা এই সতীন তাড়ানোর উপায় জানিই না। কিন্তু অনেক ধারাবাহিকেই সেই উপায় দেখতে পাওয়া যায়। জি বাংলা একটি ধারাবাহিকে বারবারই সতীনের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়।
জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) তে দেখা গেছে সতীনের উপদ্রব। কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল ধারাবাহিকের মূখ্য চরিত্র পর্ণার জীবনে এসেছিল সতীন। আর সেই সতীনকে উপড়ে ফেলতে পর্ণা পুরোহিতের শরণাপন্ন হন। আর তারপর সে সতীন কাঁটা ব্রত পালন করে, সতীনকে উপড়ে ফেলে। পর্ণার পর এবার পর্ণার ঠাম্মিশাশুড়ি পড়েছে সতীনের খপ্পরে।
দত্ত পরিবারে রয়েছে একটা সোনার গণেশ। এই নিয়েই এখন সকলে দুর্বিপাকে। সৃজনের ঠাকুরদা দুলাল দত্তের আসল স্ত্রী পেয়ারি। পেয়ারি নামের এক বৃদ্ধা এই দাবি করে। কিন্তু দুলাল দত্তের আসল স্ত্রী হেমনলিনী দত্ত। অর্থাৎ সৃজনের ঠাম্মা। অতীতে দুলাল দত্তের স্বভাব চরিত্র ভালো ছিলনা, পেয়ারি নামের বাইজিকে সে ঘরে নিয়ে আসে। সেই সময়ও হেমনলিনী সতীন রীতি পালন করেছিল।
আবারও সেই অতীত ফিরে এসেছে তাই আবারও সে সতীন রীতি পালন করতে সদা তৎপর হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাচ্ছে, পুরোহিতকে নিয়ে সতীন কাঁটার ব্রত পালন করছে হেমনলিনী। দেখা যাচ্ছে ঝাঁটা দিয়ে কুসপুতুল পিটিয়ে সতীন নিবারণ করছে হেমনলিনী। আর সেটা ভিডিও করে পেয়ারিকে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হেমনলিনী।
এই একই রকম ভাবে পর্ণার সতীন দূর করতে ঠাম্মি পর্ণাকেও এমন নির্দেশ দিয়েছিল। এবার পর্ণার পর ঠাম্মি এই ব্রত পালন করছে। অনেকেই এই ঘটনার কটাক্ষ করে বলছেন, ‘ সিরিয়ালগুলোয় এতোদিন তিন চারটে বৌ অথবা তিন চারটে করে বর পাল্টাতো, এইবার নতুন খেলা।’ আবার অনেকেই অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তীর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।