স্টার জলসার (Star Jalsha) বর্তমানে এক ভালোলাগার সিরিয়াল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। একটা পরিবারে মেয়েদের নিজস্ব কিছু গল্প থাকে তাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে। তথাকথিত সমাজের বাস্তব চিত্রটাকে বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে ধারাবাহিকে। তাই অনেকেই নিজেদের জীবনের সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছেন যে কারণে সিরিয়ালের বেশ প্রশংসা করছেন। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে শাশুড়ি আর বৌমার মাঝে এক সূক্ষ মন কষাকষির রেষ লেগেই থাকে।
তার উপরটা সবাই দেখতে পায় কিন্তু ভিতরের গল্পটা শুধু তারাই বলতে পারে। ‘মেয়েবেলা’ সেই ধরণেরই এক সিরিয়াল যেখানে অনেক চরিত্রের মধ্যে দুটি মুখ্য চরিত্র হল বীথি আর মৌ। বীথি শাশুড়ি আর মৌ তার বৌমা অর্থাৎ ছেলের বউ। বীথি মৌকে পছন্দ করতোনা বরাবরই, তার কারণ অবশ্য অন্য। তবে ডোডোর সাথে যখন না চাইতেও মৌয়ের বিয়েটা হয়ে যায় বীথি ধীরে ধীরে নিজের মনকে বোঝাতে শুরু করে।
কিন্তু তার মাঝেও সে ছেলের খুশির কথা চিন্তা করে এমন কিছু করে যা দর্শকের কাছে বিথীকে মা থেকে ভিলেন তৈরী করে। তবে বীথির আসল উদ্দেশ্য জানতে পেরে মৌ থাকে শাস্তি দেয়নি বরং তাকে বোঝার চেষ্টা করেছে। আর সেই কারণেই বিথীও মৌয়ের প্রতি কিছুটা নরম হয়েছে। তবে বীথি চাঁদনীকে জানিয়েছিল যে মৌ আর ডোডোর বিয়েটা কেবলই একটা চুক্তি। তারা ডিভোর্স দেবে একে অপরকে।
যারা মেয়েবেলা নিয়মিত দেখেন তারা জানেন যে, সম্প্রতি মৌকে বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে দোতলা ছেড়ে একতলায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। সবার সাথে সাথে চাঁদনীও বিশ্বাস করে নেয় মৌই দোষী তাই সে একেবারে উঠেপড়ে লাগে মৌকে শাস্তি দিয়ে নির্ঝর আর মৌ এর ডিভোর্স করিয়ে সে ডোডোকে বিয়ে করবে। কিন্তু চাঁদনীর এই ভুল ভেঙে দেয় ডোডো। সে নিজের বন্ধুকে একপ্রকার আয়না দেখিয়ে দেয়। আর তাতেই চাঁদনী নিজের ভুল বুঝতে পারে আর ডোডোকে নিজের বন্ধু হিসাবেই গ্রহণ করে। ভালোবাসার মানুষ হিসাবে নয়।
চাঁদনী নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করে ডোডো আর তার নয়। শুধুই বন্ধু মাত্র। আর ডোডো চাঁদনীর মাঝের এই সম্পর্ক, এই বন্ধুত্ব দাগ কেটেছে দর্শকের মনে। প্রসঙ্গত, জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও টিআরপি লিস্টে পয়েন্ট বেশি না হওয়ায় নাকি বন্ধ হতে পারে মেয়েবেলা, এই খবরেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন সকলে। তবে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে বন্ধ হচ্ছে না মেয়েবেলা। বরং চ্যানেল আপাতত স্লট বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সোমবার থেকে পরিবর্তন হচ্ছে মেয়েবেলার সম্প্রচারের সময়।