জি বাংলার (Zee Bangla) বর্তমান জনপ্রিয় সিরিয়াল হল ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri)। এক ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের পর দর্শক জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালটিকেও এভাবে আপন করে নিয়েছেন। আসলে এই ধারাবাহিকের গল্প একটু ভিন্ন। অন্যান্য ধারাবাহিকের তুলনায় আর তাই জগদ্ধাত্রী প্রতি সপ্তাহেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বিরাজ করে। এই সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্র জগদ্ধাত্রী ওরফে জ্যাস সান্যাল। দুজন একই মানুষ কিন্তু পরিস্তিতি বিশেষে আর কাজ বিশেষে ভিন্ন।
ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই দর্শকের মন কেড়েছে। পাশাপাশি নতুন অভিনয়ে প্রবেশ করা অভিনেত্রী অঙ্কিতার অভিনয় আর তার পাশে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেত্রী রূপসা। যাকে এতদিন দর্শক পর্দায় খানিক অন্যরকম সাদামাটা চরিত্রেই দেখে এসেছেন। তবে এই ধারাবাহিকে দুই মুখ্য আকর্ষণ মূল চরিত্র জগদ্ধাত্রী ও কৌশিকী মুখার্জিই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
একদিকে যেমন ঘরে জগদ্ধাত্রী আর বাইরে জ্যাস সান্যাল হয়ে অঙ্কিতা জিতেছে মন। অন্যদিকে মুখার্জী পরিবারের একটা বড় স্তম্ভ কৌশিকী মুখার্জী। যে ভেঙে পড়লে গোটা পরিবারটি টুকরো হয়ে যাবে। নিজেকে শক্ত করে পরিবাকে আগলে রাখাই যে নিজের কর্তব্য মনে করে। সে জগদ্ধাত্রীর দ্বৈত সত্ত্বা সম্পর্কে জানে। কিন্তু সেটা গোপনের প্রয়োজনীয়তাটাও জানে।
জগদ্ধাত্রী যেমন তার বড়দি অর্থাৎ কৌশিকীকে শ্রদ্ধা করে তেমনই কৌশিকী জগদ্ধাত্রীকে ভীষণ স্নেহ ও ভরসা করেন। তবে পারিবারিক দ্বন্ধ সব ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে অন্দরে। তা টের পেলেও আলকানোর ক্ষমতা সৰসময় কৌশিকী মুখার্জী বা জগদ্ধাত্রীর নেই। স্বয়ম্ভু যে রাজনাথ মুখার্জীর ছেলে সেকথা অনেক ভাবে অস্বীকার করতে চেয়েও পারেনি বৈদেহী মুখার্জী।
সে মা হিসাবে কাছে টেনে নিয়েছে স্বয়ম্ভুকে। কিন্তু ওদিকে বড় ফাঁদ পেতে রেখেছে দিব্যা সেন। একে অপরের সাথে কেবল ক্ষমতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যার একটা ঘুটি হিসাবে অবশেষে গুলিবিদ্ধ হল স্বয়ম্ভু। দিব্যা সেন খুব বুদ্ধি করে নিজের কূটবুদ্ধি খাটিয়ে কোর্টের বাইরেই গুলি করে মারার চেষ্টা করেন স্বয়ম্ভুকে। গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে সে। এখানেই কি শেষ স্বয়ম্ভুর পরিচয়ের লড়াই? তা জানা যাবে আগাম পর্বেই।