স্টার জলসার (Star Jalsha) বর্তমান জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa)। একটানা বেঙ্গল টপার। জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের পর এই ধারাবাহিকও দর্শকের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আসলে শুধু গল্প নয়, গল্পের থেকেও বেশি শিল্পীদের অভিনয়ের গুনে অনুরাগের ছোঁয়া হয়ে উঠেছে এক নম্বর। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকের অভিনয় অনবদ্য। প্রত্যেকেই নিজেদের চরিত্রে প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন।
বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে যেভাবে বাবা-মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েনে বাচ্চাদের ক্ষতির পরিমাপ বোঝানোর চেষ্টা চলছে তা সত্যি অভাবনীয়। এই ধরণের গল্প যদি ক্ষতিকারক হয় অপরদিকে বাস্তবকে আয়না দেখানোও বটে। সিরিয়াল মানেই বাস্তবের সাথে মিশে থাকা একটা সুক্ষ গল্প। যার সম্পূর্ণটা বাস্তবিক না হলেও কিছুটা তো বটেই।
ধারাবাহিকে সূর্য-দীপার সম্পর্কের টানাপোড়েন, মিশকার একতরফা ভালোবাসা আর দুই ছোট্ট শিশুর সম্পর্কের জালে পরে শৈশব হারানো। সব মিলিয়ে এক কথায় অসাধারণ। শিশুশিল্পী হিসাবে ছোট্ট সোনা আর রুপা অর্থাৎ মিশিতা আর সৃষ্টির অভিনয় তো দর্শকের নজর কারে বারংবার। দর্শক মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকেন তাদের। তবে গল্পে কিছুতেই সত্যিকে জিততে দেওয়া হচ্ছেনা।
দীপা যতবার নিজের আত্মসম্মানকে নিজের অভিমানকে দূরে সরিয়ে সূর্যকে সবটা বোঝানোর চেষ্টা করে সূর্য ততই তাকে ভুল বুঝে বারেবারে তাকে অপমান করে দূরে সরিয়ে দেয়। আর দীপার আত্মসম্মানে আঘাত করে ফেলে। কখনও জেনে আবার কখনও না জেনে। সম্প্রতি, সোনা জানতে পেরেছে সে অনাথ। তার বাবা-মা কে? তারা কোথায়? একথা কেউই জানেনা। তাকে সকলে মিথ্যে বলেছে। আর এই কথা ছোট্ট শিশুর মন ভেঙে দিয়েছে। সে অভিমানী হয়ে উঠেছে নিজের বাবার প্রতি।
আর তাই সে বাবাকে উপেক্ষা করে যার কাছে মায়ের স্নেহ অনুভব করে সেই ফুল মায়ের কাছে থাকতে চায়। একথা সূর্য শুনলে সে আবারও দ্বীপকেই ভুল বোঝে আর তাকে বাড়ি থেকে একপ্রকার অপমান করে বার করে দেয়। কিন্তু সোনা একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লে তা উর্মির নজরে পরে। সে যে এখন বদলে গেছে। সোনার কষ্টটা সে এখন বুঝতে পারে। তাই সোনা তাকে যখন তার ফুলমা এর কাছে দিয়ে আসতে অনুরোধ করে উর্মি থাকতে না পেরে তাই করে।