জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) বাংলার ঘরে ঘরে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। শাশুড়ি বৌমার মাঝে চিরন্তন লেগে থাকা এক টক-ঝাল-মিষ্টি লড়াই এই দেখিয়েছে শুরু থেকেই। যেখানে তিক্ততা আছে, খারাপ লাগা আছে, আবার কখনও ভালোলাগাটাও কাজ করে। শুধু শাশুড়ি আর বৌমার মাঝে ভালোবাসার সম্পর্কটা এখনও গড়ে ওঠেনি। শুরু থেকেই এমন একটা গল্প দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আর তাই তো কিছু মানুষ আরও বেশি করে নিজেদেরকে মেলাতে পারেন সেই জায়গায়। অনেকেই আছে যারা এই সমস্ত সহ্য করেছেন বা আজও হয়তো কাউকে কাউকে এই সমস্যা গুলোর মুখোমুখি হতে হয়। তারা সকলেই এই ধারাবাহিকের সাথে বেশ নিজেদের একাত্ম করতে পারেন, মেশাতে পারেন। এই ধারাবাহিক নিয়ে যেমন বারেবারে দর্শক মন্তব্য করেছেন এইসব আজকালকার দিনে মেনে নেওয়া যায়না।
অন্যদিকে আবার পর্ণার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিতে যেভাবে সে তার শাশুড়িকে মাত দেয় বা তার অন্যায় কাজকর্মের জন্য তাকে জব্দ করে তা দেখে দর্শক ভীষণ আনন্দ পান। তবে সবসময় পর্ণা জিতে গেলেও যে একঘেয়ে লাগতে পারে দর্শকের কাছে। তাই গল্পে এসেছে নতুন টুইস্ট। যারা নিয়মিত ধারাবাহিক দেখেন তারা জানেন, তিন্নি সম্প্রতি নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে। আর পর্ণাকে হারানোর যে চ্যালেঞ্জ সে নিয়েছিল তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিন্নি সৃজনের চাকরিটা কেড়ে নিয়েছে। তবে সৃজনের মন পেতে সে আবার সৃজনকে নিজের আন্ডারেই না বলে একটা চাকরিতে জয়েন করায়। যেখানে সৃজনকে না জানিয়েই একটা কন্ট্রাকে সই করিয়ে নেয় যাতে সে চাইলেই চাকরিটা ছাড়তে না পারে। আর নিজের ইচ্ছেমত সৃজনকে ঘুরিয়ে যাচ্ছে। পর্ণা সবটাই জানতে পেরেছে, সে তিন্নিকে কিভাবে জব্দ করবে তা ধারাবাহিকের আগামী পর্ব দেখলে জানা যাবে।
ইতিমধ্যে, ধারাবাহিকের আরেকটি প্রোমো সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৃজনের মা তাকে বলছে, ‘তুই কি বৌ এর টাকায় বসে খাবি ঠিক করেছিস’? এই কথাটা পর্ণার কানে যায়, আর সে একটা বুদ্ধি পেয়ে যায়। তারপরই দেখা যায় সৃজনের সাথে ভার্চুয়ালে পর্ণা বস সেজে ছদ্মবেশে কথা বলে। সে সৃজনকে বলে তাদের কলকাতার শাড়ির ব্যবসার হেড হবে সৃজন। এরপরই দত্ত বাড়িতে রমরমিয়ে সৃজনের শাড়ি তৈরির তোড়জোড় দেখা যায়। আর কৃষ্ণা পর্ণাকে বলে, ‘দেখেছো পর্ণা আমার বাবু এখন কোম্পানির হেড।’ এতে সকলেই বেশ খুশি।