স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হল ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ (Komola O Sreeman Prithviraj)। এই ধারাবাহিক অন্যান্য সকল ধারাবাহিকের থেকে একেবারে ভিন্ন। এই গল্পে আছে নিখাদ বিনোদন, একটা বন্ধুত্ব আর মিষ্টি সম্পর্ক যা ধীরে ধীরে পরিপক্ক হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। এই গল্প ঊনবিংশ শতাব্দীর। যেসময় দেশ ভাগের জন্য উত্ত্বপ্ত চারিদিক। স্বাধীনতার লড়াই চলছে একপাশে।
আর তারই মাঝে এক মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠছে। সেসময় বাল্যবিবাহ বেশ সাধারণ বিষয় ছিল। আর তেমন ভাবেই একসাথে বাঁধা পরে কমলা ও মানিক। তবে কমলাকে তার বাবা তখনকার ধ্যান ধারণা অনুযায়ী মূর্খ রাখেননি। পড়াশুনা শিখিয়েছেন। এমনকি গান-বাজনাও জানে কমলা। বিদেশী আদপ-কায়দাও তার অভস্থ্য। কিন্তু মানিক একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির ছেলে। তার পড়াশুনায় কোনো আগ্রহ নেই।
সে শুধু বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেরিয়ে মজা করে দিন কাটাতে চায়। তবে কমলা মানিকের বন্ধু হয়ে উঠেছে ধীরে ধীরে। আর এই জুটি বারেবারে পর্দায় চোখ জুড়িয়ে দেয় দর্শকের। মানিক সবসময় বউ এর পাশে থাকার চেষ্টা করে। তার সমর্থনে কথা বলার জন্য এগিয়ে যায় অন্যায় দেখলেই। কমলাও তাই মানিককে পছন্দ করতে শুরু করেছে। এই দুজনের কীর্তিকলাপে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরী হয় এই ধারাবাহিকে। যা দর্শককে এক নিটোল আনন্দ প্রদান করে।
সম্প্রতি, ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো সামনে এসেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে মানিকের কাকার ছেলের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর সেখানে পণ প্রথাকে সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে। মানিকের ভাইকে একটা বড় দাঁড়িপাল্লার একপাশে বসানো হয়েছে আর অপর পাশে তার ওজনের সমান সোনা দিতে হবে পাত্রীপক্ষকে। তবেই বিয়ে হবে। তবে পাত্রীপক্ষ তাতে ব্যর্থ হয়। বিয়ের পিঁড়ি থেকে বরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে এই অবধি একরকম থাকলেও পাত্রীর বাবা হঠাৎই বলে বসেন ছোট ছেলে চলে গেলে কি হয়েছে, বড় ছেলের সাথে অর্থাৎ মানিকের সাথে বিয়ে দেবেন তারা। মানিক সরাসরি মানা করে কিন্তু। কমলার সামনেই তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়। এরপরও মানিক উঠে যেতে চাইলে তার আর কমলার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাধ্য করছে বিয়ে করতে। এরপর দেখার শেষমেষ কি হয়? কমলার কপালে কি সতীন জুটবে?