স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa)য় বর্তমানে চলছে হাই ভোল্টেজ ড্রামা। ছোট্ট সোনা আর রুপার অভিনয় বারেবারে ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকের মন। একজন পরিস্থিতির হাতে পরে বড্ড তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠেছে। অন্যজন একটু বেশিই অভিমানী। সোনা নিজেকে অনাথ জানার পর থেকেই বাবার প্রতি অভিমানে কষ্টে অনবরত কেঁদেই চলেছে। শুধু তার বাবাই নয়, সে পরিবারের কারুর সাথেই কথা বলতে চায়না।
সে শুধু তার ফুলমাকে আকঁড়ে ধরতে চাইছে। আর সোনার এমন দশা চোখে জল এনেছে অনুরাগীদের। সোনার কষ্ট যে তার একার নয়। সোনার বলা প্রতিটা কথা সূর্যর মনে গিয়ে বিঁধছে। সে এতদিন যাকে বুকে আগলে মেয়ের মতই বড় করে তুললো আজ সে নিজের পরিচয় জানতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে, সে তার বাবাকে ডাক্তারবাবু বলে সম্মোধন করল।
শুধু তাই নয়, সব সত্যি জেনেও দীপা যখন নিজের মেয়ের মুখ থেকেই তার অনাথ হওয়ার কথা শুনছে, এমনকি সে চেয়েও মেয়েকে সত্যিটা জানাতে পারছেনা তার কষ্টটাও দর্শকের মনে নাড়া দিচ্ছে। একটা ভুলবোঝাবুঝি আর তাকে ঠিক করতে অনেক গুলো ভুল, সব মিলেমিশে এক জটিল ও কঠিন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ধারাবাহিকে। যা সত্যিই ভীষণ কষ্টদায়ক।
একজন মা চেয়েও নিজের সন্তানের কষ্ট ভোলাতে পারছেনা। এক বোন সব জেনেও মুখ বুঝে তাকে সবটা শুধু নীরব দর্শক হয়ে দেখে যেতে হচ্ছে, এক মেয়ে তার বাবাকে বাবা বলে ডাকার অধিকার পায়নি। আর একজন বাবা যে নিজের দুই সন্তান কাছে থাকতেও তাদের নিজের সন্তান বলে চিনতেই পারেনা বা বুঝতেও পারেনা। ধারাবাহিকটি ভীষণ জটিলতার মধ্যে দিয়ে এক অন্যরকম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।
এমতাবস্থায়, সোনা যখন বারবার তার আসল বাবা-মায়ের খোঁজ করছে তখন হঠাৎ সূর্য তার মাকে প্রশ্ন করে সোনার আসল বাবা-মায়ের পরিচয় জানতে চায়। কিন্তু লাবণ্য সেনগুপ্ত দোটানায় পরে যান। তিনি কিছুতেই সত্যিটা বলতে পারেননা। অবশেষে সেই আবার এক মিথ্যের জালে তিনি জড়ালেন নিজেকে ও ছেলেকেও। তিনি সূর্যকে বলেন তিনি সোনাকে তার NGO থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে কেউ তাকে ছেড়ে গিয়েছিল। আর তার বাবা-মা কেউ নেই।