জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হয়েছে একটি নতুন ধারাবাহিক। যার নাম হল ‘ফুলকি’ (Phulki)। ফুলকি প্রথম দিনেই বাজিমাত করেছে। টিআরপি তালিকায় নিজেদেরকে স্থান দিয়েছে। পুরানো ধারাবাহিকদের পাশে নিজেদের স্থান দিয়েছেন নতুন হয়েও। যা সিরিয়ালের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই ধারাবাহিকের কাহিনী হল বক্সিং নিয়ে।
ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকা ফুলকির চরিত্রে অভিনয় করছেন দিব্যানী মন্ডল (Divyani Mondal) এবং তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন অভিষেক বসু। অভিষেক বসুকে এর আগেও দর্শকরা দেখেছেন। দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তবে দিব্যানীকে এই প্রথম দেখছেন দর্শকরা। তাঁর অভিনয় সকলেরই বেশ ভালো লাগছে। নতুন হয়েও সে সকলেরই মন জয় করে নিয়েছেন। তবে এই দিব্যানীর দিদিও নাকি জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী।
যাকে এখন আর দেখা যায়না টিভির পর্দায়। দর্শকরা দিব্যানীর সাথে তাঁর মিল পেয়েছেন। সেই অভিনেত্রী হলেন নেহা আমনদীপ (Neha Amandeep)। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘স্ত্রী’ (Stree) , সেখানে নেহাকে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন ‘সাহারা ওয়ান’ চ্যানেলে সম্প্রচারিত হওয়া হিন্দি ধারাবাহিক ‘সাহেব বিবি গোলাম’ এ, ওড়িয়া ছবি ‘হে প্রভু দেখা দে’ তে, স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ওঁ নম শিবায়’ তে সতীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
‘দুর্গতিনাশিনী দুর্গা’, ‘ঠাকুমার ঝুলি’, ‘কনে বউ’ তেও তাঁর দেখা মিলেছে। এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সাথে মুখের মিল রয়েছে, এমনটাই বলছেন দর্শকরা। আদৌও তা নয়। একে অপরের সাথে কোনোরকম সম্পর্ক নেই। এটা শুধুমাত্র দর্শকদের অনুমান। দিব্যানী আলাদা পরিবারের মেয়ে আর অভিষেক আলাদা পরিবারের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, দিব্যানী মন্ডল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মা-বাবার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা নিয়েই এগোবে মেয়ে । কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন ছিল অভিনয় করার। আর তাই বাবা-মার ইচ্ছামত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পড়াশোনা করতে করতেই কয়েকটি মিউজিক ভিডিওয় অভিনয় করেছিলেন। এরপর সেগুলো দেখে জি বাংলার চ্যানেলে প্রস্তাব আসে। এরপর থেকেই শুরু হয় পথচলা।