বঙ্গে এখন বর্ষা (Monsoon) ঋতুর আগমন। ভ্রমণ প্রিয় বাঙালীর শীত হোক অথবা গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা ঘোরা চাই চাই। কখনও টিপটিপ আবার কখনও ঝমঝম বৃষ্টি আর সোঁদা মাটির গন্ধ মানুষকে মনে করিয়ে দেয় বর্ষা এসে গেছে। কিন্তু শহুরে পরিবেশে তা আর হয় কোথায়? শহুরে পরিবেশে কংক্রিটের গন্ধটাই নাকে আসে। আর তাই এই বর্ষায় সোঁদা মাটির গন্ধ আর প্রকৃতির বৃষ্টিস্নাত রূপের খোঁজে বেরিয়ে পড়ুন ঘুরতে যাওয়ার কিছু মনের মতন নতুন জায়গার (Tourist Destinetion) খোঁজে , রইল ঠিকানা।
শান্তিনিকেতন (Santiniketan) : যদি প্রশ্ন করা হয় বাঙালীর আবেগের জায়গা কোনটি? তাহলে সকলেই মন থেকে উত্তর দেবে শান্তিনিকেতন। রবি ঠাকুরের লালমাটির দেশে বৃষ্টির ফোঁটা ফোঁটা শব্দ আর তার সাথে সোদামাটির গন্ধ আপনার মন কে রাঙাবেই। কানের কাছে তখন শুনতে পাবেন একটাই গান ‘আজি ঝড় ঝড় মুখর বাদর দিনে’।
দিঘা (Digha) : অনেকেই দিঘা যান শীতের শেষে, গরমের দাবদাহে। কিন্তু কখনো বর্ষাকালে গেছেন। একবার বর্ষায় গিয়ে দেখবেন, কি অপরূপ সৌন্দর্য। সমুদ্রে তো সবসময় জল থাকেই, কিন্তু সেই সমুদ্রে যখন বৃষ্টির জল পড়ে, তা দেখতে অপরূপ। তাহলে এই বর্ষায় ঘুরে আসুন দিঘা।
ঝাড়গ্রামের জঙ্গল (Jhargram Jungle) : বৃষ্টির জলে গাছপালার সতেজতা দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু এখন গাছ কেটে বাড়ি হচ্ছে, তাই টবের মধ্যেই সেই সতেজতা অনুভব করে, কিন্তু আপনি যদি বিশাল জঙ্গলে গিয়ে এই সতেজতা অনুভব করেন, তাহলে কেমন হবে বলুন তো। তাহলে আর দেরি কেন? চলে যান ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির জঙ্গলে। এখন গেলে চারিদিকটা একেবারে কচি পাতার মতো সবুজ এবং সতেজ হয়ে থাকবে । যা দেখে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। তখন মনে হবে, ‘বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা’।
সুন্দরবন (Sundarban) : যারা ভূগোল বই পড়েছেন তারা এই সুন্দরবনের সাথে খুবই পরিচিত। বর্ষার সময় সুন্দরবন যেন নতুন কনে। এতটাই সুন্দর লাগে দেখতে, চারিদিকে পাখির ঝাঁক,তাদের কলরব। দেখা পেতে পারেন হরিণ, রায়মঙ্গল কে। আর এই সাথে সাথে সুন্দরবনের ইলিশ। আহা! যেন মধুরেণ সমাপয়েৎ।
তুলিন গ্রাম (Tulin Gram): পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খন্ডের মাঝে পুরুলিয়ার একটি ছোটো গ্রাম হল তুলিন গ্রাম, একেবারে তুলির মতোই সুন্দর। পাশ দিয়ে চলে গেছে সুবর্ণরেখা নদী। বর্ষার সময় বেশ ভালোই লাগে এই জায়গাটা। একেবারে যেন তুলি দিয়ে আঁকা গ্রাম। তাহলে আর দেরি কেন চলে যান পুরুলিয়ায়।