স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa) ধারাবাহিকটি দর্শক মাঝে বেশ জনপ্রিয়। প্রত্যেক কলাকুশলীর অভিনয় দর্শকের মনে আলাদা জায়গা তৈরী করে নিয়েছে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে ভোলেনা দর্শক। তার ফলাফল পাওয়া যায় প্রতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায়। গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ একটানা টিআরপি তালিকায় এই ধারাবাহিক প্রথম স্থানে আছে।
সম্প্রতি, ধারাবাহিকে নতুন মোড় দেখা গেছে। দীপা আবার সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরে এসেছে। সূর্য তাকে মেনে না নিলেও সে মেয়েদের জন্য বাধ্য হয়েই একপ্রকার ফিরে এসেছে ওই বাড়িতে। তবে সে এবার আর নিজের জায়গা সহজে ছাড়বেনা বলেই মনস্থির করেছে। কারণ সে বুঝতে পেরেছে সূর্য তাকে শুধুই ঘৃণা করেনা।
সূর্যের মনে দীপার প্রতি এখনও সুপ্ত ভালোবাসা রয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ সূর্য করতে চায়না। অন্যদিকে সোনা নিজের আসল বাবা-মাকে চায়। সে অস্থির হয়ে উঠেছে নিজের পরিচয় জানতে। তার ছোট্ট মনে এই কথাটা গভীর প্রভাব ফেলেছে। যে সে এতদিন যাদের সাথে বড় হয়ে উঠলো যাকে বাবা বলে চিনল তারা নাকি কেউ তার নিজের নয়। শিশু হলেও তাদের অভিনয় দাগ কাটছে দর্শকের মনে।
সোনার এমন উদ্ভিঘ্নতা দূর করে তার মন ভালো করতে বাড়িতে একটা পুজো রেখেছেন লাবণ্য সেনগুপ্ত। আর সেই পুজোতে মিশকাকে ডাকা হলে দীপা এবার এক উপায় বার করে সূর্যর থেকে মিশকাকে দূরে রাখার। দীপা আর পরিবারের বাকি সদস্যরা মিলে মিশকাকে নতুন ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা করেছে তাও দীপার বুদ্ধিতে।
মিশকা যাতে পুজোতে সেনগুপ্ত বাড়িতে আসতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা। অন্যদিকে, মিশকা যখন শাড়ি, গহনা বাছাই করতে ব্যস্ত সূর্যর বাড়ি যাবে বলে তখন মিশকার কাছে একের পর এক পাত্রের ফোন আসতে থাকে বিয়ের জন্য। আসলে দীপা এমনটাই বুদ্ধি লাগিয়েছে একটা ম্যাট্রিমনিতে মিশকার ছবি সহ পাত্র চাই এর বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর তাই মিশকার ফোন যেমন ফোনের লাইন তেমনই বাড়ির সামনে ছেলেদের লাইনও পরে গেছে।