যারা কর্মক্ষেত্রে খুব মনোযোগী হন, কর্মক্ষেত্র বলা ভুল হবে, নিজের ভালোলাগাকে নিয়ে যারা এগিয়ে যান তাদের কাছে কোনো বাধাই কিছু কাজ করেনা। আর তার প্রকৃত উদাহরণ দেখা গেল মিশিতা রায় চৌধুরী (Misheeta Ray Chowdhury)-র কাছে। এই মিশিতা রায়চৌধুরী নিজের শারীরিক কষ্টকে অতিক্রম করে এগিয়ে গেছেন নিজের স্বপ্নের দিকে।
মিশিতা রায়চৌধুরী, যাকে সকল দর্শকরা চেনেন সোনা হিসেবে। স্টার জলসার (Star Jalsha) টিআরপি টপার ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa) তে দীপা ও সূর্যর মেয়ে সোনার (Sona) চরিত্রে অভিনয় করছেন মিশিতা। সাম্প্রতিক এপিসোড গুলো দেখলেই, দর্শকরা বুঝতে পারবেন ছোট্ট সোনার চোখ ফুলে রয়েছে, চোখ লাল হয়ে রয়েছে। আসলে অভিনেত্রীর চোখে জয় বাংলা অর্থাৎ কনজাংটিভাইটিস হয়েছে।
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মহামারী দেখা গিয়েছিল। এপার বাংলা এবং ওপার বাংলা দুই বাংলাতেই বেশ বড়সড় রূপ নিয়েছিল। আর সেই থেকেই এই ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছিল জয় বাংলা। এরপর এই মহামারীর কথা খুব একটা শোনা যেত না। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই এটা একটা বড়সড় আকার নিয়েছে।
আর এর কবলেই পড়েছে ছোট্টো সোনা (Sona)। যারা এই সমস্যায় ভুক্তভোগী তারা জানেন, চোখে কতটা কষ্ট হয়, চোখ কতটা জ্বালা করে, সবসময় চোখ দিয়ে জল পড়তেই থাকে। এরকম কঠিন সমস্যায় বড়রা ছটকায়, আর এইটুকু একটা মেয়ে এই সমস্যা নিয়েই করছে শ্যুটিং। যা সত্যিই অনবদ্য, সকলেই তাঁর এই কীর্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিশিতা রায়চৌধুরী এখন থেকেই যেভাবে ব্যালেন্স করে অভিনয় করছেন, তা সত্যিই অনবদ্য। শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যায়। পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী, শ্যুটিং সামলে চেষ্টা করে সপ্তাহে তিন দিন স্কুলে যেতে। এখন থেকে মিশিতা যেভাবে সবটা সামলাচ্ছে, আগামী দিনেও এইভাবে উচ্চতার শিখরে পৌঁছাবে তা বলাই যায়।