জি বাংলার (Zee Bangla) নতুন একটি ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকটিতে কাহিনীকার তুলে ধরেছেন বাস্তব পরিস্থিতি। ৬০ শতাংশ পরিবারেই দেখা যায় একই রকমের কাহিনী। মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মেয়ের সম্মান পায় না, বরং তারা দাসী বা পরের মেয়ের পরিচয়ে তাঁরা থেকে যায় চিরকাল। বৌমারা আপন করতে চাইলেও শাশুড়ি আপন করে নেয়না। আর তারই উদাহরণ মেলে এই ধারাবাহিকে।
যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেনই শিমুলের শাশুড়ি কতটা দজ্জাল মহিলা। শিমুলকে সহ্যই করতে পারে না। শাশুড়ি যখন বৌমা ছিলেন, তখন যেগুলো পাননি, সেগুলো তার বৌমাকেও পেতে দেবে না এই তার প্রতিজ্ঞা। শাশুড়ি যেমন অপূর্ণতা পেয়েছিলেন, সেরকমই বৌমাকেও সেরকম অপূর্ণ রাখতে চান।
ছেলের ফুলশয্যার দিন ছেলের খাটে শুয়ে পড়েন। নিজের লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিয়ে সে এই কাজ করে। এর জন্য নেটপাড়ায় ট্রোলও হতে হয়েছে। শিমুলের বাড়ি থেকে যেসব গয়না গুলো দিয়েছিল, সেগুলোও কেড়ে নিতে চায়, দিনের পর দিন হিংস্র থেকে হিংসতর হতে চলেছে। এইসব মুখ বুজে সহ্য করে না শিমুল, প্রতিবাদ করে। আর এবার এমন শাস্তি দিল শাশুড়ি, যা খুবই নিন্দনীয়।
সম্প্রতি যে প্রোমো প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, শিমুলের জন্য তাঁর জা রা মাছের কচুরি করেছে। শিমুলের কাছে নিয়ে গেছে। শিমুলকে মুখে তুলে খাওয়াতে গেলেই শাশুড়ি বাঁধা দেয়। সে জানায়, ‘আমরা কি নতুন বৌকে খাওয়াতে পারি না। দুটুকরো মাছ খাইয়ে নতুন বউয়ের কানে সংসার ভাঙার মন্ত্র দেবে।’
শিমুল এই কথার প্রতিবাদ করতে গেলে, তাঁকে চুপ করতে বলে শাশুড়ি। এরপরই দেখা যায় শিমুলকে ঘরে বন্দী করে রাখে। তার বাড়ির চৌকাঠ পেরোনো বন্ধ বলে দেয়। এবার থেকে তাঁর কাজ সংসার দেখা। সব স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে শুধুই সংসারকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে হবে। এই ঘটনা দেখে চারিদিকে নিন্দার ঝড়। আবার নতুন করে দর্শক ক্ষেপে উঠলেন শিমুলের শাশুড়ির প্রতি।