‘এ যেন বাস্তব কাহিনী’, ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের লেখনীকে কুর্নিশ জানালেন দর্শক!

কৃষ্ণা দত্তের পর টলিপাড়ার দজ্জাল শাশুড়ির তকমা যিনি পেয়েছেন তিনি হলেন শিমুলের শাশুড়ি। জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হয়েছে একটি নতুন ধারাবাহিক ‘কার কাছে

Saranna

audience praised kar kache koi moner kotha serial writer for the story

কৃষ্ণা দত্তের পর টলিপাড়ার দজ্জাল শাশুড়ির তকমা যিনি পেয়েছেন তিনি হলেন শিমুলের শাশুড়ি। জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হয়েছে একটি নতুন ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকের নামেই রয়েছে একটা আবেগ। নামেই বোঝা যাচ্ছে বাড়ির বৌদের মনের কথা বোঝার মতো কেউ নেই, মনের কথা কাউকেই বলতে পারেনা। 

একদিকে স্বামী বোঝেনা, অন্যদিকে শাশুড়ি অত্যাচার করে বৌমার উপর। বৌমাকে মেয়ে নয় দাসী ভাবে। আর এই বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকের কাহিনীতে। দেখানো হয়েছে শাশুড়ির নির্মম অত্যাচার। কিছুতেই এক হতে দেয়না ছেলে-বৌমাকে। আর তাই ফুলশয্যার দিন নির্মমভাবে লজ্জাহীন হয়ে বৌয়ের  জায়গায় শুয়ে পড়েন মা। এই ঘটনায় তোলপাড় নেটপাড়া। চারিদিকে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। 

in kar kache koi moner kotha serial shimul's mother in law snatch food infront her mouth

ফুলশয্যার পর আরও অত্যাচার শুরু করবে শিমুলের শাশুড়ি (Shimuler Sasuri)। ধূলো পায়ে লগন করার জন্য বৌমাকে বাপের বাড়ি না যেতে দেওয়ার জন্য আর একটা ছল খুঁজতে থাকে। অবিলম্বে সেই কাহিনী আবর্তিত হবে ধারাবাহিকের কাহিনীতে। আগামীতে দেখা যাবে শরীর খারাপের অভিনয় করে যাওয়া বন্ধ করে দেবে। আর ছেলেও মায়ের কথামতো রাজি হয়ে যাবে। 

এই ধারাবাহিকের এইসব কান্ডকারখানা দেখে নেটিজেনরা বলছেন ‘এই ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এইসব ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)র মত সিরিয়াল দেখেই সংসার গুলো আরও ভেঙে যাচ্ছে, যিনি লিখেছেন তিনি ১০০% এই শাশুড়ী!  নিজে জীবনে শান্তি পান নি, অন্যের জীবন নষ্ট করছে! যতসব নোংরা মানসিকতার লোকজন’। তবে শুধুই যে কু মন্তব্য দেখা গেছে এমনটা নয়, অনেকেই রিলেট করেছেন বাস্তবের সাথে।

bengali serial best kipte mother in law in kar kache koi moner kotha shimuler sasuri

তাই তারা জানাচ্ছেন, ‘বাস্তবে এরকম পরিবার সকলের পাড়াতেই দেখা যায়। বাস্তবে এরকম অনেক শাশুড়ি আছে কোন কারণ ছাড়ায় বউকে ছেলের কাছে খারাপ বানায় আনিয়ে বানিয়ে বলে। ছেলের কাছে বউকে বিষাক্ত করে তোলে।’ আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘লেখিকা একেবারে সত্যটাই তুলে ধরেছেন, লেখিকার সাহস আছে, আর তাই লেখিকাকে কুর্নিশ জানায়।’

× close ad