মেয়ে মানেই কি অবলা? মেয়ে মানেই কি সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করবে? এই ধ্যান ধারণা ছিল অতীতে। এখন মেয়ে মানেই একদিকে প্রয়োজনে নারী দেবী দূর্গা আর একদিকে সে দেবী চন্ডী। প্রয়োজনে সে অস্ত্রও ধরতে পারে। বাস্তবের কাহিনী যেহেতু পর্দায় তুলে ধরা হয়। তেমনই এইসব কাহিনীই পর্দায় তুলে ধরা হচ্ছে। বর্তমানের ধারাবাহিকের নারীরা কেউই নয় অবলা সকলেই সবলা। যেমনটা ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকের মেঘকে দেখা যাচ্ছে।
আর তেমনটাই দেখা মিলল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকে। জি বাংলার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘ ইচ্ছে পুতুল’। এই ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায় জায়গা না করে নিতে পারলেও দর্শকদের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিকের কাহিনীতে প্রথম দিকে দেখা গিয়েছিল মেঘ খুবই অবলা, খুবই নীরিহ। আর মেঘের দিদি ময়ূরী সবসময় মেঘের মাথায় ছুরি ঘোরাচ্ছে। মেঘকে বিপদে ফেলছে।
ময়ূরীর জন্য সকলেই মেঘকে ভুল বোঝে। মেঘের স্বামী নীলও মেঘকে ভুল বোঝে। অনেকবার ভুল বুঝেছে, কিন্তু মেঘ আবার ফিরে গেছে নীলের কাছে। নীলের সব অপমান সহ্য করে। কিন্তু এবারে আর মেঘ নীল সহ বাড়ির কারও অপমান সহ্য করল না। এবার সে চন্ডী রূপে পর্দায় অবতীর্ণ হল। আবারও ময়ূরী চক্রান্ত করে। রুপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ময়ূরী মিথ্যা কথা বলে। এতেই নীল এবং তার বাড়ির লোক ভুল বোঝে।
তবে মেঘ নিজের অপমান মুখ বুঝে সহ্য না করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তবুও কলেজের সূত্রে মেঘ আর নীলের প্রতিদিন সাক্ষাৎ হয়। আর নীল যেকোনো উপায়ে মেঘকে অপমান করতে কোনো সুযোগ ছাড়ছেনা। শুধু অপমান নয়, সকলের সামনে তাকে একপ্রকার অপদস্তও করে চলেছে। মেঘের গানের ফর্ম ছিঁড়ে ফেলে দেয় তার চোখের সামনেই। তবুও দমেনি মেঘ।
সম্প্রতি, এই ধারাবাহিকের নতুন একটি প্রোমো সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মেঘ মঞ্চে গান গাইছে। আর সেই সময় তার মাথা ঘুরে যায়। মেঘ পড়ে যাচ্ছিল, কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে একটি ছেলে এসে মেঘকে ধরে নেয়। আর তারপর তাদের একসাথে গলা মিলিয়ে গান গাইতে দেখা যায়। অন্যদিকে এই দৃশ্য দেখে সৌরনীল বলে ওঠে, ‘আমার প্রয়োজন বোধহয় এবার সত্যি ফুরিয়েছে’ আর সেখান থেকে চলে যায়। এবার দর্শকের প্রশ্ন এই কি তবে নতুন নায়ক? যে, মেঘকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।