ভ্রমণ (Holiday Destination) পিপাসু আর ভোজন রসিক এই দুই সত্ত্বা যদি একটা মানুষের থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তাই তারা খোঁজেন, যেখানে ভালো খাবার পাওয়া যায় এবং যেখানে মন ফুরফুরে হয়, সেরকম একটি জায়গা। আর সেরকম জায়গা কলকাতার আশেপাশেই রয়েছে (Destination Near Kolkata)। অনেকেই জানেন না, তাদের জন্য রইল সেই ঠিকানার হদিশ। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততা আর কাজের রেষ কাটাতে ঘুরে আসুন এই স্থানে।
বাঙালি ইলিশ ভালোবাসেনা, এই কথাটা একেবারেই মিথ্যা। বাঙালি মানেই ইলিশের প্রেমে পাগল। খুব কম মানুষ আছে, যারা এই পাগলের মধ্যে পড়ে না। ভোজনরসিরা সবসময় চায়, ভালো খাবার খাব, আর মনোরম দৃশ্য অনুভব করব। আর তাই তাদের চাহিদা মত, খোঁজ দিলাম এমন একটি জায়গার, যেখানে পাওয়া যায়, ইলিশ আর অনুভব করা যায় সুন্দর পরিবেশ। জায়গাটির নাম গেঁওখালি।
রূপনারায়ণ, দামোদর ও হুগলি নদীর সঙ্গমস্থল। তাই একে বলা হয় ত্রিবেণী সঙ্গম (Triveni Sangam)। তিন নদীর মিলনস্থল। আবার রয়েছে তিন জেলা, মেদিনীপুর , হাওড়া আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। বুঝতেই পারছেন কতটা সুন্দর। বর্ষাকালে সবথেকে সুন্দর দিন উপভোগ করতে পারবেন। ইলিশ মাছ ওঠে খুব। বর্ষায় ইলিশ মাছ ভাজা খেতে খেতে এই সুন্দর জায়গার রূপ উপভোগ করবেন। চারিদিকে পাখির কূজন, গঙ্গার ঘাটে, নৌকা পারাপার।
আরও পড়ুনঃ সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ, কম খরচে অ্যাডভেঞ্চার চাইলে পৌঁছে যান এই ডেস্টিনেশনে! রইল ঠিকানা
এছাড়াও রয়েছে ক্লাইভের প্রাচীন দুর্গ, লাইট হাউস, মহিষাদল রাজবাড়ি, গান্ধীজির পদধূলি ধন্য গান্ধী কুটির, মিওয়াকি ফরেস্ট আরও কত কি। বিশেষ করে গোধূলি বেলায় একেবারে অন্যরকম। একবার গেলে বারবার মন বলবে, ‘মন চলো নিজ নিকেতনে’। ছবির মত আঁকা সেইসব দৃশ্য। ব্যস্তময় জীবনকে একটু মুক্তির স্বাদ দিতে ঘুরেই আসুন, কলকাতার কাছের জায়গা গেঁয়োখালি থেকে।
কীভাবে আসবেন? ধর্মতলা থেকে টানা বাস যায় নূরপুর পর্যন্ত। নূরপুর থেকে লঞ্চ যায় আধঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন গেঁয়োখালি। আবার ট্রেনে করে মেচেদা লোকাল ধরে মেচেদাই নামুন। ওখান থেকে বাসে করে পৌঁছে যাবেন গেঁয়োখালি। আবার হাওড়া থেকে বাগনান যান, ওখান থেকে বাসে করে পৌঁছে যাবেন।