জি বাংলার (Zee Bangla) সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ইতিমধ্যে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। শুরু থেকেই বেশ চর্চায় এই সিরিয়ালটি। প্রথম থেকেই এই গল্পে দর্শক বাস্তবতার ছাপ ফুটে উঠেতে দেখছেন। সিরিয়ালটিতে দেখানো প্রতিটা ঘটনা কোথাও না কোথাও ঘটে চলেছে। যারা এই ঘটনার সাক্ষী তারা বারবার এই ধারাবাহিকের লেখিকার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
শিমুল(Shimul) বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে রীতিমত যুদ্ধ করে চলেছে। তাকে বাঁচতে গেলে যে প্রতি মুহূর্তে একটা লড়াই চালিয়ে যেতে হবে তা সে বেশ উপলব্ধি করেছে। শ্বশুরবাড়িতে তাকে মানুষ বলেই গণ্য করা হয়না। তার খিদে, ঘুম, ক্লান্তি, শখ কিছুই থাকতে নেই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ভাষায়। তাকে যন্ত্রচালিত পুতুলের মত যে যার নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইছে।
তবে এই সময়ে দাঁড়িয়ে সবটা মেনে নেওয়া যায়না। যা অন্যায় তা প্রশ্রয় পাওয়ার আগেই মুখের উপর বলা ভালো। তাই শিমুল(Shimul)ও সবটা মুখ বুঝে মেনে নেবেনা সেটা শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিতে শুরু করেছে শশুড়বাড়ির সবাইকে। কিন্তু সেই বা কতক্ষন যুদ্ধ করবে? তারাও তো সকলে আপনজন। তবে ইদানিং গল্পের মোড় কিছুটা ঘোরানো হয়েছে। শিমুলের সাথে তার শাশুড়ির সম্পর্কের সমীকরণ কিছুটা বদলেছে। সম্প্রতি, শিমুলদের পাড়ায় পাড়ার মেয়ে ও বউরা মিলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সেখানে যোগ দিতে চাইলে কম কথা শুনতে হয়নি শিমুলকে। বাড়ি থেকে পর্যন্ত বার করে দেওয়া হয়েছিল তাকে। তবে সে ভয় পেয়ে পিছিয়ে না গিয়ে সকলের আড়ালে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। শুধু তাই নয়, শিমুল পুতুলকেও গান গাওয়ার সুযোগ করে দেয়। আর পুতুলের গান শুনে শিমুল(Shimul)মনস্থির করে নেয় যে সে পুতুলকে গান শেখাবেই। অথচ শ্বশুরবাড়িতে তার নাচ গান কড়াইতে বেড়ি পড়েছে। তবুও শিমুলের এই মনোভাব আবার নজর কেড়েছে দর্শকের।
প্রসঙ্গত, শাশুড়ি তার অতীত জীবনের কিছু কথা প্রাণখোলা ভাবেই ভাগ করে নিয়েছেন শিমুলের সাথে। এসে থেকে যেভাবে শিমুল(Shimul)শাশুড়ির রণচন্ডি রূপ দেখে এসেছে তা নিয়ে কিছুটা ধারণা শিমুলেরও পাল্টেছে শাশুড়ির জীবনের অতীত জেনে। অন্যদিকে, শিমুলের ব্যবহার ধীরে ধীরে তার শাশুড়ির মনেও ভালোলাগা তৈরী করেছে। এই সিরিয়ালের মূল ভাবনাই তাই ছিল যে মনের কথা কাউকে বলা যায় কিনা। সেটাই হয়ত এবার দেখতে চলেছেন দর্শক।