জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache Koi Moner Kotha)তে একদিকে যেমন ফুটে উঠেছে শাশুড়ির নির্যাতন অন্যদিকে দেখা গেছে বৌমার প্রতিবাদী সত্তা। শিমুল এমন একজন মেয়ে, সে সবটা মুখবুজে সহ্য করে নেবে তা কিন্তু নয়, সবটা যুক্তি দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে দেখে। সাম্প্রতিক পর্বে সেটারই দেখা মিলল। একদিকে সে যেমন নিপীড়িত, অন্যদিকে সে প্রতিবাদী।
ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা গেছে, পাড়ার অনুষ্ঠানে শিমুল নাচ করুক সেটা শিমুলের শাশুড়ি, স্বামী কেউই মেনে নিতে পারেনি। শিমুল নাচ করবে অনুষ্ঠানে এটা তে তো কোনো ভুল নেই। তাই ঠিকটাকে বেছে নিয়ে তাদের অবজ্ঞা করেই সে অনুষ্ঠানে নাচে। নাচ শেষ হওয়ার পর শাশুড়ি যখন দেখে স্টেজে বৌমা নাচছে পুরষ্কার দেওয়ার বদলে সকলের সামনে গালে একটা চড় কষিয়ে দেয়।
সকলের সামনে শিমুলও প্রতিবাদ করে ওঠে। বাড়ি যেতেই শুরু হয়ে যায় অত্যাচার। শিমুলের শাশুড়ি শিমুলকে জিজ্ঞাসা করেন কি শাস্তি চাও তুমি? তখন শিমুল জানায়, আমি কোনো অন্যায় করিনি যে আমাকে শাস্তি পেতে হবে। শাশুড়ি জানিয়ে দেয় শিমুলের সাথে আর সংসার করবে না। পরাগও জানিয়ে দেয় সেটা।
শিমুল বলে আইনের সাহায্যে আমি এই বাড়িতে থাকব। তখন পরাগের মা জানায় আমি কাশী যাব। পলাশ তখন বলে বাইরের মেয়ের জন্য কেন তুমি বাড়ি ছেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, পলাশ নাচনেওয়ালীর তকমা দেয় শিমুলকে। শিমুল প্রতিবাদ করে জানায়, সে জেলখানার কয়েদি নয়, সবাই তার উপর প্রভুত্ব ফলাতে পারে না। যে যা বলবে তাই তাকে মেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মেরুদন্ডহীন নয়! ‘এত বড় অপমান করতে পারবোনা শিমুলকে’, মা-ভাইকে যোগ্য জবাব দিল পরাগ
শাশুড়িকে বলে, একদিন আপনার উপর কেউ এমন করেছে বলে আপনিও করবেন। আমি তো সেখানে উপস্থিত ছিলাম না তাহলে আমি কেন শাস্তি পাব? এরপর দেখা যায় বিপাশা আর শীর্ষা তাদের বাড়ি আসে। তারাও এসে প্রতিবাদ করে। শীর্ষা পুলিশের নম্বর দেয় , শিমুল জানায় যখন ওকে বাড়ি থেকে বার করে দেবে এবং যেদিন আবার গায়ে হাত তুলবে সেদিন এই নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে যাবে। তবে এত অন্যায় সহ্য না করে শিমুল বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে।