নতুন হয়েও হননি অবাঞ্ছিত, দর্শকরা তাকে বেশ ভালো ভাবেই স্বাগত জানিয়েছে। সেই কারণেই প্রথম দশের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ধারাবাহিকটি। ভাবছেন কার কথা বলছি? জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকের কথা বলছি। সবেমাত্র শুরু হয়েছে ধারাবাহিকটি এরই মধ্যেই পুরানোদেরকে টেক্কা দিয়ে প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে। প্রত্যেক সপ্তাহেই যাতে প্রথম দশে থাকতে পারে তার জন্য ধারাবাহিকে নির্মাতারা আনলেন মোড় ঘোরানো এক পর্ব।
ধারাবাহিক যখন শুরু হয় প্রথম দিকে শাশুড়ি এত কঠিন ছিল যে মনে হয়েছিল কোনো এক অপরাধের জন্য শিমুল যেন কারাগারে বন্দী। কিন্তু এই এক দু দিনের এপিসোড লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দজ্জাল শাশুড়ির মন একটু হলেও গলে গিয়েছে। শিমুল বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, শিমুলকে আনতে যায় শাশুড়ি, শিমুল আসতে না চাইলে তাকে জোর করে নিয়ে আসার কথা বলে।
বাড়ি ফিরে যখন শিমুল যখন শাশুড়িকে জানায় বিপাশা, শীর্ষা ওদের সাথে দু দিনের জন্য ছুটি কাটাতে যাবে, তখন তিনিও রাজি হয়ে যান, তবে শর্ত দেন পুতুলকে নিয়ে গেলে তবেই যেতে দেবে। শিমুলের জয়ের পাশাপাশি কঠিন শাশুড়ির এহেন আচরণ দেখে দর্শকরা খুশি হলেও খুশি হননি শিমুলের দেওর পলাশ।
শিমুলের তিন বান্ধবী ঘুরতে যাবে বলে সঙ্গে করে কিছু রান্না করা খাবার নিয়ে যাচ্ছে, শিমুলেরও ইচ্ছা হয় কিছু নিয়ে যেতে। ঘুরতে যাওয়ার দিনে সুচরিতার জন্মদিন পড়েছে, তাই পায়েস বানানোর কথা ভাবে শিমুল। সেই সময় পলাশ এসে বলে চাল, চিনি, গ্যাস, দুধ সব কি তোমার মরা বাবা এসে দিয়ে যাবে?
আরও পড়ুনঃ বারবার শিমুলকে অপমান করায়, পলাশকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে তার মা! ফাঁস দুর্ধর্ষ পর্ব
একথা শুনে শিমুল পলাশের গালে থাপ্পড় মেরে বলে, ‘ তোমার মা শাসন করতে পারেননি বা করেননি, আমি তোমার বড় বৌদি মাতৃসমা তুমি যদি কোনো ভুলত্রুটি করো আমি তোমাকে বুঝিয়ে দেব অসভ্যতা করলে ঠিক কি শাস্তি পেতে হয়’। শিমুলের এই প্রতিবাদ দেখে সকলে বলছেন উচিত শিক্ষা হয়েছে।