জি বাংলার (Zee Bangla) সবথেকে চর্চিততম ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। প্রত্যেক সপ্তাহেই এক থেকে দশের মধ্যে নিজেকে অধিষ্ঠিত করে রেখেছে এই ধারাবাহিক। প্রথমদিকে শিমুলের শাশুড়ি এতটাই কঠিন ছিল যে তাকে দেখে মনে হত না, তার ভিতরে কোনো নরম হৃদয় আছে। কিন্তু এখন তাকে দেখে মনে হয় তার ভিতরেও রয়েছে একটা নরম হৃদয়। কঠিন বরফ গলে জলে পরিবর্তন হচ্ছে।
পরিবর্তনতার প্রথম লক্ষণ, বৌমা এবং নিজের মেয়েকে প্রতিবেশীদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া। শাশুড়ি মায়ের অনুমতি নিয়ে শিমুল এবং তার বন্ধুরা পৌঁছে যায় সমুদ্রসৈকতে। বেশ আনন্দ করছে সবাই মিলে। এই আনন্দের মাঝেই নেমে এল অন্ধকারের ছায়া। সামনে এল সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা। সমুদ্র সৈকতে শিমুল, পুতুল, সুচরিতারা ছাড়াও তাদের সাথে ট্রিপে অংশগ্রহণ করেছে সুচরিতার মেয়েও।
সমুদ্রে সকলে মিলে স্নান করছে, আনন্দ করছে, সবাই মিলে হাত ধরাধরি করে গান করছে। এই প্রথম যেন সকলে একটা মুক্ত বাতাস পেল। শিমুল মন ভরে আনন্দ করছে। সবাই আনন্দে ব্যস্ত এরই মাঝে সুচরিতার মেয়ে আচমকাই স্রোতে ভেসে যায়। সুচরিতা চিৎকার করে প্লিজ হেল্প! প্লিজ হেল্প! সকলে মিলে জল থেকে তুলল।
কিন্তু তার জ্ঞান ফেরেনা কিছুতেই এই সময়েই হাজির হয় একটি পুরুষ ও একটি মহিলা। পুরুষটি বলে ওঠে একটা বাচ্চা মেয়েকে সামলে রাখতে পার না। কে এই লোকটি? শিমুল জিজ্ঞাসা করায় জানতে পারে এটা সুচরিতার স্বামী। সুচরিতাদের সাথে সে থাকেনা, অন্য একটি মেয়ের সাথে আলাদা থাকে।
আরও পড়ুনঃ বৌদিকে মৃত বাবা নিয়ে খোঁটা পলাশের! ঠাটিয়ে থাপ্পর দিল শিমুল, উচিত শিক্ষা বলছে নেটপাড়া
আর সেই মেয়েটিকে নিয়েই একই হোটেলে উঠেছে। সুচরিতার স্বামীকে শিমুল বলে, ‘স্ত্রীর প্রতি না হয় আপনার দায়িত্ববোধ নেই, মেয়ের প্রতিও কি নেই’। শিমুলের কথায় সকলেই অবাক হয়ে যায়। শিমুলের পরিবারকে সুশিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সুচরিতার স্বামীকেও কি উচিত শিক্ষা দেবে বিপাশারা? জানতে হলে দেখতে হবে ধারাবাহিকের আগামী পর্ব গুলো।