সিরিয়াল ছাড়াও দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন ধরণের শো আয়োজিত হয়ে থাকে চ্যানেলগুলোতে। সেইরকমই জী বাংলার জনপ্রিয় শো দিদি নং ১ । এই শো সঞ্চালনা করেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। এই শো গান বিভিন্ন খেলা, আড্ডা গল্প সব মিলিয়ে হয়ে ওঠে জমজমাট। সম্প্রতি এই দিদি নং ১ এর পর্দায় দেখা গেলো জনপ্রিয় অভিনেতা ঋতজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (Hritojeet Chatterjee)।
দিদি নং ১ এর মঞ্চে ঋতজিৎ এর আইবুড়োভাত : (Hritojeet Chaterjee marriage rituals celebrate on Didi No.1 set)
এই অভিনেতা খুব শীঘ্রই তার বাস্তব জীবনে গাঁটছড়ার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। তিনি ওই দিন তার হবু স্ত্রী অর্পিতা তিওয়ারির (Arpita Tiwary) সাথে দিদি নং ১ এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) তাদের দিদি নং ১ এর মঞ্চে খাওয়ালেন আইবুড়োভাত। অভিনেতা ও তার হবু স্ত্রী অর্পিতাকে সাজিয়ে দিলেন আইবুড়ো ভাতের থালা। অভিনেতা ঋতজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Hritojeet Chatterjee) এমন একটি খুশির খবরে সকলেই আনন্দ পেয়েছেন ও তাদের শুভকামনা জানিয়েছেন।
ওই দিন দিদি নং ১ (Didi No.1) এর মঞ্চে প্রথম অভিনেতা নিজের প্রেম সম্পর্কে কথা বলেন। অর্পিতা জানান তিনি চেয়েছিলেন এমনই কোনো একটা বড়ো মঞ্চে তাদের সম্পর্কটা সামনে আসুক। তাই এর আগে কখনো তারা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি। অভিনেতা মঞ্চে আড্ডা দিতে দিতে জানিয়েছেন তাদের দুজনের সম্পর্ক শুরুর গল্প। অভিনেতা জানান সম্পর্কের শুরুর দিকে তিনি অর্পিতার সাথে কথা বলতে চাইলে বা নম্বর চাইলে তাকে প্রথমেই না শুনতে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিনোদন মানুষের শ্রেষ্ঠ মনোরঞ্জনের উপায়। আর বিনোদন মানেই সবার আগে আসে ধারাবাহিকের কথা। মানুষের কাছে ধারাবাহিকের স্থান আলাদাই। নির্দিষ্ট সময়ে সারা সপ্তাহ জুড়ে পছন্দের ধারাবাহিকটি দেখতে কখনও ভোলেননা দর্শক। সকল কাজকর্মের পর সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে আর একটু মনোরঞ্জনের আশায় দর্শক বসে পড়েন ধারাবাহিক দেখতে। ধারাবাহিক এখন মানুষের প্রত্যহ অভ্যাসেও পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ধূলোকনাতে নতুন হিরোর প্রবেশ! নতুন রূপে অভিনেতা তথাগতকে দেখা যাবে ধূলোকনার পর্দায়
জী বাংলার (Zee Bangla) পর্দা হোক বা অন্য যেকোনো বাংলা বিনোদনের চ্যানেলগুলি দর্শকের মনোরঞ্জনে সেরা হয়ে উঠতে ক্রমাগত তাদের মাঝে চলে ধারাবাহিক যুদ্ধ। নতু নতুন গল্প, চেনা-অচেনা মুখের বিভিন্ন চরিত্র ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে দর্শকের ঘরের লোক। তাদের হাসিতে দর্শক আনন্দিত হন। তাদের দুঃখের দিনে ব্যথিত হন। আবার তাদের ক্ষতি হতে দেখলে রে রে করে ওঠেন। সব মিলিয়ে মনোরঞ্জনে ধারাবাহিক জমজমাট।