Sandhyatara Serial : টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফলের জন্য সব ধারাবাহিকেই নিয়ে আসা হচ্ছে চমক। এমতাবস্থায় স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara) তেও আনা হয়েছে বেশ বড়সড় চমক। চমকের প্রভাবে সন্ধ্যা আকাশের জীবন যেমন ওলটপালট হয়েছে, তেমনই উথালপাথাল চলছে দর্শকদের মনে। সন্ধ্যার অবস্থা দেখে দর্শকরা কিছুতেই ভালো থাকতে পারছেনা। ধারাবাহিকে দেখা গেছে সন্ধ্যা আকাশের পিছু পিছু কলকাতা যায়।
একেবারে দুজনেই গিয়ে ওঠে তারার হোস্টেলে। সন্ধ্যা খুব কান্নাকাটি করে, রেগে যায়। আকাশ তাকে ভালো করে বুঝিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যায় বাড়িতে। বাড়িতে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে আকাশ সন্ধ্যাকে অনেক কথা শোনায়। সে জানায়, সন্ধ্যার জন্য তার দমবন্ধ লাগছে, যেদিকে দুচোখ চায় চলে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে। এই কথা শুনে সন্ধ্যা খুব কষ্ট পায়।
সন্ধ্যা গাড়ি থেকে নেমে দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে রাস্তায় ছুটতে থাকার দরুন এক গাড়িতে ধাক্কা খায়। আকাশ মুখে যতই সন্ধ্যাকে পছন্দ নয় বলুক না কেন, সন্ধ্যার প্রতি তার টান কতটা সে বুঝতে পেরেছে। সন্ধ্যাকে ওই অবস্থায় দেখে আকাশ নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা। সকলের সাথে একপ্রকার যুদ্ধ করে সন্ধ্যাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তবে সন্ধ্যার অনেকটা রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা বিশেষ ভালো নয় জানায় ডাক্তার।
এরই মাঝে দেখা যায়, সন্ধ্যার রক্তের প্রয়োজন। যার জোগাড় খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে নাহলে সন্ধ্যাকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে। অন্যদিকে, সন্ধ্যা আর আকাশনীলের রক্তের গ্রুপ এক এটা জানতে পেরে আকাশ ছুটে যায় রক্ত দিতে। তবে আকাশের ছুঁচে ফোবিয়া আছে তার প্রাণ সংশয় হতে পারে রক্ত দিতে গিয়ে। একথা জেনেও নিজের প্রাণের পরোয়া না করে সন্ধ্যাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে আকাশনীল।
এবার দেখার আকাশ কি পারবে নিজের ভয়কে দূরে সরিয়ে রেখে সন্ধ্যাকে বাঁচাতে? প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিকটি অন্যান্য ধারাবাহিকের তুলনায় বেশ আলাদা কারণ এখানে ত্রিকোণ প্রেম থাকলেও বোনের প্রতি বোনের ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। সন্ধ্যার খবর পেয়ে তারা ছুতে আসে হাসপাতালে। সন্ধ্যাকে আকাশ রক্ত দেবে শুনে সে খুশি হয়। হিংসা করেনি সে বরং চায় তার দিদি যেন সুস্থ হয়ে যায়।