Viral Nandini Didi : আগে লোকে ফুটপাতের খাবারের নাম শুনলেই ঘেন্না করত, কেউ খেতেই চাইত না। অনেকেই বলত ‘ ফুটপাতের খাবার খাবি? ছিঃ! কি জল নিয়ে রান্না করে তার ঠিক আছে’। কিন্তু এই সব বাক্যালাপ এখন অতীত। যখন থেকে ডালহৌসির নন্দিনী দিদি ভাইরাল হয়েছে তখন থেকে মানুষ আবারও খেতে শুরু করল ফুটপাতের খাবার। ভিড় জমাতে থাকে নন্দিনীদির পাইস হোটেলের (Nandini Didir Pice Hotel) সামনে।
ভাইরাল দিদির হাতের রান্না খেতে পৌঁছে যায় সকলে। এমনকি সূদূর বাংলাদেশ থেকেও খেতে এসেছিলেন নন্দিনীদির হোটেলে। এতটাই জনপ্রিয়। তবে কয়েকদিন আগে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এবং সংবাদমাধ্যমেও দেখা যাচ্ছে নন্দিনীদির হোটেলে খাবারের দাম অনেক টাকা, যেখানে অন্যান্য হোটেল তার থেকে দ্বিগুণ কমে বিক্রি করছে সেই খাবার। এই বিতর্কিত ভিডিও এবং খবর পড়ে অনেকের মনেই সংশয় জাগছে তাহলে আমরা কি সেখানে গিয়ে খেতে পারব না।
সাধপূরণ কি হবে না। তাদের জন্য এই প্রতিবেদনে তুলে ধরলাম, নন্দিনীদির হোটেলে খাবারের দাম (Food Price)। কলকাতা জিপিওর ঠিক উল্টোদিকে ফুটপাতের উপরেই হোটেল চালাচ্ছেন মডার্ন নন্দিনীদি। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় খাওয়া দাওয়া তা চলে দুপুর ৪ টে পর্যন্ত। ৪ টের পরে গেলে সেখানে কিছুই পাওয়া যাবেনা। এত ভিড় হয় এখানে বড়ো বড়ো হোটেলেও এমন ভিড় হয় না। এখানে সব থেকে কম দামের থালি হল ৩০ টাকার থালি, আর বেশি দামের থালি হল ২০০ টাকা। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
ভেজ থালি (৩০ টাকা) : ভাত, ডাল, আলু ভাতে, সবজি।
ভেজ থালি (৫০ টাকা) : ভাত, ডাল, আলু ভাতে, সবজি, দুরকমের ভাজা।
চারাপোনা থালি (৭০ টাকা) : ভাত, ডাল, আলু ভাতে, সবজি, একটা ভাজা, মাছের ঝোল।
কাতলা থালি (৮০ টাকা ) : ভাত, ডাল, আলু ভাতে, সবজি, একটা ভাজা, মাছের ঝোল।
চিকেন থালি (১০০ টাকা) : ভাত, ডাল, আলু ভাতে, সবজি, একটা ভাজা, চিকেন।
মাটন থালি (২০০ টাকা) : ভাত, ডাল, আলু ভাতে, সবজি, একটা ভাজা, মাটন।
এছাড়াও পাওয়া যায়, পোলাও ও চিকেন কষা দাম ১৫০ টাকা। এছাড়াও থাকে অনান্য মাছ বাটা, ইলিশ, ইত্যাদি।