Viral Nandini Didi : অহংকার পতন ডেকে আনে, একথা আমরা সকলেই জানি, এমনকি তার নির্দিষ্ট উদাহরণও আমরা চোখের সামনে পেয়েছি। মনে পড়ে রানু মন্ডলের কথা। একেবারে উঁচুতে উঠে গিয়েছিল, কিন্তু এখন সে সেই আগের জায়গাতেই আছে, এই রানু মন্ডলের সাথে নেটনাগরিকরা তুলনা করছেন স্মার্ট দিদি নন্দিনীর। ডালহৌসির অফিস পাড়ার স্মার্ট দিদিকে এখন সকলেই চেনেন।
তার দোকানে সকলেই এখন ভিড় জমাচ্ছেন। এই জনপ্রিয়তার কারণে বেড়েছে অহংকার। নন্দিনী দির (Nandini Didi) যেসব ভিডিও গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, সেগুলো লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, যেমন কাজের চটপটা তেমনই রূঢ় ভাষায় কথা বলে। কখনো পাবলিকের সাথে, আবার কখনো বাবা-মায়ের সাথে। বাবাকে ‘জানোয়ার’ বলে সম্বোধন করেন। এই দৃশ্য দেখে মেনে নিতে পারেননা নেটিজেনরা।
কেন তিনি তাদের সাথে এরকম খারাপ ব্যবহার করেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। ফুডি ভাই নামক এক ভ্লগারকে নন্দিনী জানান, ‘ সকাল থেকে দেখছিস আমার মা বকার পর বকা খাচ্ছে , দোষগুলোও দেখতে পাচ্ছিস। আমিও বকা খাচ্ছি। ব্যপারটা কি হয় লোকেদের ফুটেজ চায়। লোকেদের ভিউজ চায়, তো তাই জন্য লোকেরা শুধু ওইটুুকুই তোলে।
যেখানে নাকি আমি বকছি। আসলে কি হচ্ছে সেটা কেউ জানেনা।’ এরপর তার কাছে আর একটা প্রশ্ন রাখা হয়, এখন জনপ্রিয় হয়ে গেছে, তাই তার দোকানে সেল বাড়ছে। আর একারণেই তার অ্যাটিটিউড বেড়ে গেছে। কেউ আসলে তাদের পাত্তা দাও না? এ প্রসঙ্গে নন্দিনী জানান, এটা তার ব্যবসার জায়গা। কেউ যদি এসে তার প্রফিট লাইনে বাঁধা দেয় তাহলে তো তিনি রাগ করবেনই।
তাঁর কথায়, ‘বাবা মা যেমন আমাকে প্রফিড দিচ্ছেনা বকা খাচ্ছে, তারাও খাবে, সাধারণ ব্যাপার। এসেই যদি ক্যামেরাটা ঢুকিয়ে দেয়, দিদি দুটো কথা বলো! দিদি দুটো কথা বলো! তাহলে তো আমি রেগে যাবই’। উল্লেখ্য, নন্দিনী দি তাঁর নিজস্ব পাইস হোটেল খুলতে চলেছেন। একটি উত্তর কলকাতায় এবং অন্যটি নিউটাউনে। কবে সেটা খুলবেন তা এখনো জানাননি। তবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।