Kar kache Koi Moner Kotha : চলতি সময়ে দর্শকদের মধ্যে যে কটা ধারাবাহিক আলোড়ন ফেলেছে, তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’। মানালি দে অভিনীত এই ধারাবাহিকে ফুটে উঠেছে সমাজের নগ্ন চিত্র। একটা মেয়ে তাঁর স্বামীর কাছে হয়ে উঠেছে ভোগ্য বস্তু। অনেক মেয়েই আছে এই কর্মকাণ্ডকে মেনে নিয়ে মুখ বুজে সংসার করে।
কিন্তু ব্যতিক্রমী এই শিমুল চরিত্রটি, অন্যায় সে সহ্য করতে পারেনা। আর তাই এবার শিমুল আইনের দ্বারস্থ হল। শিমুলকে তাঁর স্বামী নিজের অর্ধাঙ্গিনী ভাবে না, ভোগের বস্তু মনে করে। আর তাই পরাগের দুটো সত্তা কাজ করে। রাতে পরাগের চরিত্র আলাদা, আর দিনে তার চরিত্র আলাদা। রাতে শিমুলকে শারীরিক ভাবে অত্যাচার করে, আর দিনে মানসিকভাবে।
এই অত্যাচারের শিকার হয়ে শিমুল পরাগের স্কুলের হেড স্যারের সাথে দেখা করে সবটা বলে, কিন্তু তা সত্ত্বেও পরাগের চেতনা হয়নি। প্রথমদিকে শিমুলের শাশুড়িও শিমুলের এই প্রতিবাদকে মেনে নিতে পারেননি। বরং সবকিছুতেই তিনি শিমুলের দোষ খুঁজে বেড়াতেন। বর্তমানে তিনি ভালো হয়েছেন। সংসারে তাঁরও আর অশান্তি ভালো লাগেনা, একটু শান্তি চান তিনি।
আর তাই বৌমা শিমুলকে বোঝান যা হয়ে গেছে ভুলে গিয়ে আবার নতুন ভাবে পরাগের সাথে সংসার করো। পরাগ তো ভালো হওয়ার ছেলে নয়। যার যা স্বভাব। শিমুল ঘরে ঢুকতেই আবারও তার সাথে শুরু হয়ে যায় মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। আর সহ্য করতে পারেনা শিমুল, সব কথা শাশুড়িকে জানায়। মধুবালা দেবী বুঝতে পারেন তার ছেলে কত বড় দোষী।
এরপর শিমুল কাউকে কিছু না বলেই সোজা থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়। অফিসারকে শিমুল জানায়, ‘অফিসার আমি প্রতি রাতে ম্যারিটোরিয়াল রেপের শিকার হচ্ছি। আমি এই অত্যাচার আর কিছুতেই সহ্য করতে পারছিনা।’ শিমুলের এই প্রতিবাদী সত্তা দেখে অবাক হয়ে যান পুলিশ অফিসার। এরপর পুলিশ পরাগের শাস্তি স্বরূপ কী করেন সেটাই দেখার।