Anurager Chowa : টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। এখন ধারাবাহিকটি বেশ জমজমাট হচ্ছে। প্রত্যেকটি পর্বে যেন চমৎকার সব এপিসোড। প্রত্যেকটি পর্বেই রয়েছে রহস্যময় কাহিনী। মিশকার কূটনৈতিক ফন্দির ফাঁপরে পড়ে রয়েছে সূর্য-দীপা। মিশকা মারা গেছে, তা সবাই জানে, কিন্তু আদৌও মারা যায়নি মিশকা। গোপনে সে ফন্দি আঁটছে।
বর্তমানে ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে মিশকাকে খুন করার অপরাধে সূর্য রয়েছে জেলে। এই ঘটনায় সকলেই মুষড়ে রয়েছে। লাবণ্য-দীপা সহ গোটা সেনগুপ্ত পরিবার মরিয়া সূর্যকে ফেরানোর জন্য। দীপাও সূর্যকে কথা দিয়েছে খুব তাড়াতাড়িই সে নির্দোষ প্রমাণ করবে। কারণ মিশকা মরেনি। সূর্য বিনা দোষে শাস্তি পাচ্ছে।
এই কথা দীপা-সূর্য জানলেও, আইন এবং সমাজের কাছে সে অপরাধী। অন্যদিকে মিশকা মরে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে গোপনে ফন্দি আঁটছে, কখনো বুড়িমার ছদ্মবেশে আবার কখনো তান্ত্রিকের ছদ্মবেশে। দীপা মিশকার রহস্য উদঘাটন করতে তার বাড়ি যায়। এই কাজে সাহায্য করে তবলা। দীপা বাড়ি ফিরতেই দীপার গালে চড় মারে লাবণ্য সেনগুপ্ত। তারপরই আবার কাছে টেনে নেন।
দীপাকে হারানোর ভয়েই লাবণ্য সেনগুপ্ত অভিমানী হয়ে এই কাজ করেছেন। দীপার এই কষ্টে সৎ মা দীপার হয়ে কান্নাকাটি করছে। মন্দিরে গিয়ে দীপা-সূর্যর জন্য প্রার্থনা করে। তখন এক সাধিকার ছদ্মবেশে মিশকা তার কাছে উপস্থিত হয়। মিশকা জানায়, আপনার মেয়েকে রাতে একা এসে মায়ের পূজা করতে হবে।
দীপাকে রত্না জানালে দীপা তবলাকে নিয়ে মায়ের মন্দিরে আসে। আর তখনই দীপাকে পেছন দিক থেকে ছুড়ি মারতে যায়। দীপা বেঁচে যায়। পরে আবার মিশকা না এসে একজন ভাড়া করা সাধু এসে দীপাকে পুজোর নিয়ম বলে দেয়। ওই সাধিকাকে দেখে দীপার সন্দেহ হয়। আর তাই দীপা সাধিকাকে মুখ দেখাতে বলে। এরপর আবার ফেঁসে যায় মিশকা। এবার কি হবে? সব রহস্য কি ফাঁস হবে? সেটাই দেখার।