Kar Kache Koi Moner Katha : সব প্রাক্তন যে খারাপ হয় তা কিন্তু নয়, কিছু প্রাক্তন ভালোও হয়। আর তার উদাহরণ দেখা গেছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকে দেখা গেছে শিমুল ভালোবাসত শতদ্রুকে তবে তাকে বিয়ে করতে পারেনি। কারণ তখন শতদ্রু চাকরি করত না, আর তাই শিমুলের থেকে সময় চেয়েছিল, কিন্তু শিমুল অপেক্ষা করতে পারেনি , শিমুলের অপেক্ষা করার মতো পরিস্থিতি ছিল না, সে নিরুপায়।
নিরুপায় হয়ে এমন একজনকে সে বিয়ে করল, যে তাকে রোজ মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করে। নিয়মিত অত্যাচারিত হয়ে চুপ করে থাকেনা, বরং সে প্রতিবাদ করে, কখনো আইনের সাহায্যে আবার কখনো স্বামীর স্কুলের হেডস্যারের সাহায্যে। এত কিছুর পরও তার স্বামী পরাগ সোজা হলনা, যেমন ছিল তেমনই রয়েছে। আর তাই এবার শিমুল নিজের পায়ে দাঁড়াবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
নিজের পায়ে দাঁড়াবে বললেই তো আর দাঁড়ানো যায়না। ঠিকভাবে পড়াশোনাটাও করতে পারেনি। শেখার মধ্যে শিখেছিল নাচটাই। যতদূর পড়াশোনা করেছে, সেই যোগ্যতা অনুযায়ী কী কাজ পাবে? তা খুঁজতে কলকাতায় যায়। সাথে ছিল তার প্রতিবেশী বন্ধুরা। কলকাতায় গিয়ে শিমুলের সাথে দেখা হয় শতদ্রুর। একটা কফি শপে সবাই মিলে বসে।
সেখানে ভালো ভাবে কথা না বলে দুজন তর্কাতর্কি করতে শুরু করে দেয়। বিপাশা তাদের ঝগড়া করতে মানা করে, কিন্তু তারা সেই ঝগড়ায় করে যায়। আসলে তাদের কাছে এই ঝগড়ায় হল ভালোবাসার প্রতীক। যখন সম্পর্ক ছিল তখনও করত, এখনও করে। শতদ্রু ঝগড়ার মাঝেই স্বীকার করলেন নিজের ভুল গুলো। যা শুনে বিপাশাদের মন ভরে গেল। কথায় কথায় শিমুলকে শতদ্রু জিজ্ঞাসা করে।
এত অত্যাচার সহ্য করে কেন সে ওই বাড়িতে পড়ে আছে। এর উত্তরে শিমুল জানায় তার কাছে চাকরি নেই তাই বেড়িয়ে আসতে পারছেনা। শতদ্রু এটা শুনে জানায় তার অফিসে চাকরি আছে, কিন্তু শিমুল সেই চাকরি করতে চায়না। শেষপর্যন্ত কি বিপাশাদের কথা শুনে শিমুল চাকরিতে রাজি হয়ে যাবে? এর উত্তর মিলবে আগামী এপিসোডে।