Writwik Mukherjee : কার ভাগ্যে কী আছে তা কে বলতে পারে। আজ যে রাজা কাল সে ফকির আবর আজ যে ফকির কাল সে রাজা আবার উল্টোটাও হতে পারে। আর এই উল্টোটাই ঘটেছে জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জীর (Writwik Mukherjee) জীবনে। কোভিডের সময় কাজ নেই ফ্ল্যাটের নীচে বিক্রি করেছেন সবজি। আর সেই ঋত্বিক বর্তমানে হবে উঠেছেন সাত্যকি আবার কখনো সোমারাজ।
ছোটো থেকেই ইচ্ছা ছিল অভিনয়ের আর সেই কারণেই এত ভালো ভালো চরিত্রের অভিনেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার আমতলার বাসিন্দা ঋত্বিক মুখার্জী। খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই বেড়ে ওঠা। আর পাঁচটা ছেলের মতো পড়াশোনা করে অনলাইন ডেলিভারির সুপারভাইজারের চাকরি করেন। কিন্তু ওই পেশা ছিল চাকরি আর নেশা ছিল অভিনয়, এই নেশাই তাকে স্বপ্নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
বন্ধুদের সাথে নাটক করতে করতে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দেন। প্রথম সুযোগ আসে ওয়েব সিরিজে। ‘কৃশানু কৃশানু’ এবং ‘দুপুর ঠাকুরপো ৩’। তারপরই সুযোগ আসে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে। এর আগে ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ তে অভিনয়ের সুযোগ পান, সেই ধারাবাহিকের চরিত্র তাকে অর্থ দিয়েছে বটে কিন্তু তার খিদে মেটাতে পারেনি।
তারপর আসে নতুন ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রের সুযোগ। নিজেকে এর সাথে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছিল। কারণ তিনি থিয়েটারের অভিনেতা, থিয়েটার দীর্ঘদিন মহড়ার পর সেটা জনসমক্ষে সম্প্রচারিত হয়, কিন্তু ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। তার কথায়, ‘প্রথম দিনই দশ পাতার সংলাপ দিয়ে দশ মিনিট পর জানাল শট রেডি আছে। তখন বুঝতে পেরেছি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে আলাদা ক্ষমতা লাগে।
মানুষ অভ্যেসের দাস, আমারও অভ্যেস হয়ে গেল’। সাধারণ ঘরের ছেলে ঋত্বিক আজ যে যায় পৌঁছেছে তার জন্য জীবনে এসেছে অনেক চড়াই উতরাই। অনেক অপমানও সহ্য করতে হয়েছে, গায়ের রং শ্যাম বর্ণ বলে শুনতে হয়েছে, নায়ক হওয়ার যোগ্য নও। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজ সে নায়ক। সেই অপমানই ঋত্বিককে ভালো কাজ করার খিদে বাড়িয়েছে।