Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) চর্চিততম ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ তে চলছে টানটান উত্তেজনা। এতদিন পরাগ, পলাশ আর মধুবালা দেবী এই তিনজন মিলে শিমুলকে শায়েস্তা করেছে। কিন্তু এখন মধুবালা দেবী ভালো হয়ে গেছেন, আর তাই এখন পরাগ পলাশের কথাতেই সব কাজ করে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি অন্য পলাশের কথাতে মা-বউকে শায়েস্তা করতে গিয়ে পথে বসল পরাগ।
পরাগের মা আর তাদের সাথে নেই, এখন তিনি শিমুলের সাথে সঙ্গ দেন। এটাতেই পরাগ আর পলাশের রাগ। আর এই রাগের কি করে প্রতিশোধ নিতে হবে তার জন্য দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে। মধুবালা দেবী, শিমুল এবং পুতুল তিনজনে বাড়ির বাইরে গেলে পলাশ ও পরাগ ইচ্ছা করে ঘরে চাবি দিয়ে চলে যায়।
শিমুলরা যখন বাড়িতে প্রবেশ করেন তখন দেখে ঘরে চাবি দেওয়া। তাই তারা ঘরের দরজার সামনেই বসে থাকে। পাড়া প্রতিবেশী সকলেই আসে, তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানোর কথা বলে, কিন্তু শিমুলরা রাজি হননা, তারা দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন। পুতুল অস্থির হয়ে যায় খিদের, তাও সে যায়না কোথাও।
এরপর দেখা যায় পরাগ আর পলাশ দুজনে একসাথে ফেরে, পরাগ এসে তাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘ এ কি তোমরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছ কিনা কি ব্যাপার’। তখন পুতুল বলে, চাবি দিয়ে চলে গিয়ে এখন নাটক হচ্ছে। তখন পরাগ মায়ের কাছে ক্ষমা চায়, ভুল করে তারা চাবি দিয়ে গেছে, কাকিমার কাছে রেখে যেতেও ভুলে গেছে।
শিমুল এবং শিমুলের শাশুড়ি বুঝতে পারে এটা তাদের নাটক। পরে দেখা যায় সত্যিই নাটক করছে পলাশ আর পরাগ। ক্ষমা চেয়ে, আড়ালে পরিকল্পনা কষছে। ছেলেদের এই কুকীর্তি দেখে মধুবালা দেবী জানান, এ বাড়ি আমার, আমার নামেই এখনও এই বাড়ি আছে। আর তাই এবার থেকে চাবি আমার কাছে থাকবে। দরকার পড়লে তোমরা নকল চাবি বানিয়ে নাও। এবার জব্দ হবে পলাশ পরাগ।