Anurager Chowa : নিত্যনতুন ধারাবাহিক আসছে যাচ্ছে, কিন্তু শেষ হচ্ছেনা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সূর্য-দীপার জামানা। এর একটাই কারণ ধারাবাহিকের কাহিনীর চমকতা। এর জেরেই আজও টানা দেড় বছর ধরে স্টার জলসার (Star Jalsha) এই সিরিয়াল টিআরপি তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে। টিআরপি তালিকায় নিজেদেরকে একই জায়গায় ধরে রাখতে কাহিনীতে আবারও এসেছে নতুন চমক।
মিশকার সব রহস্য ফাঁস করতে মিশকার ডাক্তারের কাছে উপস্থিত দীপা। বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে মিশকা এখন হাসপাতালে রয়েছে, তার চিকিৎসার দায়িত্ব রয়েছে সূর্যর। এদিকে দীপা একথা জানেনা। লাবণ্য সেনগুপ্ত মিশকার সন্তানকে স্বীকার করে নেয় তাঁর বংশধর হিসেবে। সূর্যকে তিনিও বিশ্বাস করেননা। এর পাশাপাশি সূর্যকে বারণ করেন সে যেন দীপাকে এসব না জানায়।
দীপা এদিকে সত্যের অন্বেষণে ব্রতী। দীপার বৌদি তার কাছে আসে, এসে বলে তারা আইভিএফ এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একথা জানার পর দীপা দাদা বৌদির সাথে রোগী সেজে সেই ডাক্তারের কাছে পৌঁছায়। এই ডাক্তারই মিশকাকে সাহায্য করেছে। দীপার বৌদি ডাক্তারকে বলে, এনার গর্ভে ছেলে আছে কি মেয়ে আছে তা জানাতে।
ডাক্তার প্রথমে অস্বীকার করেন, তিনি জানান এটা তিনি পারবেন না। এরপর দীপা জানায়, সে মিশকার বাড়ির কাজের লোক, মিশকা তাকে এখানে পাঠিয়েছে, আর এই টেস্ট করার জন্য সে মোটা টাকা নিয়ে এসেছে, তাই এটা করে দিতেই হবে। শেষমেশ ডাক্তার রাজি হয়। ডাক্তার যখন ইনজেকশন পুশ করতে যায় তখনই দীপা ডাক্তারকে ধরে ফেলে, আর বলে আপনি যা করছেন তা আইনত অপরাধ।
এরপর দীপা পুলিশের ভয় দেখায়। তারপর ডাক্তার গড়গড় করে সব বলতে থাকে। মিশকা ডাক্তারকে ভয় দেখিয়েছে খুনের এবং মোটা টাকা ঘুষ দিয়েছে, আর তাই সে সূর্যর অনুমতি ছাড়া এই কাজ করেছে। ডাক্তারের স্বীকারোক্তি সবটাই ফোনে রেকর্ড করে নেয় দীপা। এমনকি সব রিপোর্টও ফোনে নিয়ে নেয় দীপা। তারপর পুলিশ এসে ডাক্তারকে গ্রেফতার করে। এরপর হয়ত প্রমাণ সমেত মিশকার শাস্তি হবে।