Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) দর্শকদের কাছে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল, ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে। কারণ এখানে নেই কোনো পরকীয়া। এখানে রয়েছে মানসিক জটিলতার ট্র্যাজেডি। এই ট্র্যাজেডি আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে, আর সেটাই ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। নায়িকার জীবনে নেই কোনো বাইরের খলনায়ক বা খলনায়িকা, তার জীবনের খলনায়ক হল তাঁর স্বামী।
এই স্বামীই তাঁকে এবার মেরে ফেলবে। প্রথম থেকেই শিমুলের উপর অকথ্য অত্যাচার করত পরাগ। কিন্তু পরাগ কখনো বুঝতে পারেনি শিমুল তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। আর তাই নিয়মিত অত্যাচার করে গেছে। এখন সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এতদিন পরাগের পাশে ছিল তার মা মধুবালা দেবী। কিন্তু এখন মধুবালা দেবী রয়েছেন শিমুলের পাশে। আর এতেই পরাগ এবং পলাশের রাগ।
আর তাই তারা পরিকল্পনা করে শিমুলকে মেরে ফেলার। শিমুলকে মেরে ফেললে সবাই ওদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। পলাশ ঠিক করে বিজয়া দশমীর দিন মায়ের ভাসানের সাথে সাথে ওঠেন ভাসান দিয়ে দেওয়া হবে। আর ঠিক সেটাই করা হল। সাম্প্রতিক প্রকাশ পাওয়া প্রোমো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজয়াতে সবাই মাকে বরণ করছে।
সবাই রঙে রাঙা। বিপাশা শিমুলের কানে কানে এসে বলে, ‘আজ ভাসান যেতে যেতে একটা সারপ্রাইজ আছে। ‘ শিমুল বিপাশাকে জিজ্ঞাসা করে, কী সারপ্রাইজ? বিপাশা জানায় ‘সিদ্ধি’। শিমুল সিদ্ধির কথা শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। আর শিমুলের এই আনন্দ দেখে পলাশ ভেবে নেয়, এই সিদ্ধিতেই সে বিষ মেশাবে। পরাগ ভয় যদি মরে যায়, পলাশ জানায়, মরে যাবে তো কি হয়েছে?
এরপর দেখা যায়, সকলের সাথে শিমুল সিদ্ধি খেয়ে ভাসান নৃত্য করছে। আর তখনই তার গলা জ্বালা করে। তারপর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর পরাগ নাকে হাত দিয়ে দেখে শ্বাস পড়ছে কিনা। তখনই পরাগের হাতটা খপ করে ধরে নেয় শিমুল, আর বলে ‘দেখছ মরে গেছে কিনা। কেন করলে এরকম’। শিমুল কি বুঝতে পেরে গেছে পরাগের চক্রান্ত? তার উত্তর দেবে আগামী পর্ব।