Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) এর জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ শুরু থেকেই দর্শকদের নজরে এসেছে। বর্তমানে আরও নজর কাড়ছে ধারাবাহিকটি। একটা সময় মধুবালা দেবী প্রতীক্ষা মায়ের অনেক প্রশংসা করেছিলেন, কিন্তু সেই প্রশংসা যে বৃথা ছিল তা হারে হারে টের পাচ্ছেন মধুবালা দেবী। এদিনের পর্বে দেখা যাচ্ছে, মধুবালা দেবী শিমুলকে বলছে, ‘প্রিয়াঙ্কার ভাবগতিক একদম ভালো লাগছে না।
অন্যদিকে আবার পরাগের সাথে তুমিও থাকো না। বুঝতেই পারছ, কোথা থেকে কি হয়ে যেতে পারে। সব ঝামেলা তোমরা মিটিয়ে নাও। একসাথে দুজনে মিলে থাকো।’ শিমুল জানায়, ‘তোমার ছেলে যা যা করেছে ওর সাথে থাকতে আমার ঘৃণা লাগে। তুমি এইজন্যই বলছ, যাতে ওই মেয়েটার সাথে ওর কিছু সম্পর্ক হয়, আমি কি আটকাতে পারব।
সে যদি নিজের ইচ্ছায় করে। আজ এর সাথে আটকালাম, কাল যদি অন্য কারোর সাথে সম্পর্ক হয়, আমি কি আটকাতে পারব। আমি যদি তোমার নিজের মেয়ে হতাম, তুমি কি আমাকে থাকতে দিতে।’ তখন মধুবালা জানান,’আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি না যে থাকতে দিতাম না। যদি তাই হত তাহলে নিজেই বেরিয়ে যেতাম।’
পরাগের কাকিমা বলেন, ‘পরাগ ভালো ছেলে, চাপা স্বভাবের। ওকে তুমি ঠিক বদলাতে পারবে। একটা বাচ্চা কাচ্চা এলে পরাগ ঠিক ভালো হয়ে যাবে। ‘শিমুল জানায়, ‘আমি কি পরাগ ব্যানার্জীকে ভালো করার জন্য বৌ হয়ে এসেছি। ও আমাকে অত্যাচার করেছে, ও আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে, তাই সব ঠিক করতে হলে ও আগে নিজে থেকে এসে করবে।’
এদিকে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের কথাবার্তা ঠিক করতে প্রতীক্ষার মা এসেছেন পলাশের বাড়িতে। তিনি এসেই জানিয়ে দেন, প্রতীক্ষা একজন চাকরি করা সমর্থ মেয়ে, দু হাতে টাকা উপার্জন করে। তাই ওর সাথে যদি কারোর না পোষায়, ও আলাদা থাকবে। এই কথা শুনে সকলেই অবাক হয়ে যায়। অবাক হয় পলাশও।