Anurager Chowa : এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির চর্চিততম ধারাবাহিক হল স্টার জলসা (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। ধারাবাহিকটি টিআরপি থেকে হয়ত সরে এসেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ধারাবাহিকটি নিয়ে দর্শকদের জনপ্রিয়তা কম নেই। সকলে এখনো ধারাবাহিকটি অধীর আগ্রহের সহিত দেখেন। যারা ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা জানেনই, ধারাবাহিকের কাহিনী এখন উল্টে গেছে।
ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে, লাবণ্য সেনগুপ্ত এবং সূর্য সেনগুপ্ত, সবসময়ই নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে এসেছে। নিজেদের মান-সম্মানকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছে, আর তার ফল ভোগ করতে হয়েছে দীপাকে। সবসময়ের মতো এবারেও তার অন্যথা হয়নি। সূর্য তার মেয়ে এবং স্ত্রী দীপাকে ছাড়া থাকতে পারছে না। তাই দীপার কাছে ক্ষমা চায়। তাদের ফিরিয়ে আনতে যায়, কিন্তু সোনা-রূপা আসেনা।
পরে আবার লাবণ্য সেনগুপ্ত আনতে যাওয়ার কথা ভাবে, কিন্তু মিশকার বাবা জানায়, সোনা-রূপা আসলে আসতে পারে, কিন্তু দীপা আসতে পারবে না। তাই তারা দীপার কাছে গিয়ে সোনা-রূপার দাবি জানায়। কিন্তু দীপা নিজের মেয়েদের ছাড়ে না। আর তাই সূর্য বাড়ি গিয়ে মিশকার কাছে কাঁদতে থাকে। মিশকা জানায়, ওরা এলে ওদের শান্তিতে থাকতে দেবে।
আবার সে সূর্যর কাছে ভালো হওয়ার অভিনয় করে। এর পাশাপাশি সূর্যকে পরিকল্পনা দেয়, সোনা-রূপার কাস্টার্ডি করার। এবার সূর্য নতুন উকিল ঠিক করে। সূর্য উকিলকে ফোন করে কাগজপত্র রেডি রাখতে বলে। ঠিক সেই সময় সূর্যর বাবা প্রবীর ঘরে এসে পৌঁছায়। সূর্য বাবা বলে ডাকতেই প্রবীর ছেলের গালে ঠাটিয়ে চর মারে।
আর বলে, ‘তোর সাহস হয় কি করে আমাকে বাবা বলে ডাকার। বাবা বলে ডাকবিনা আমাকে। এই পরিবারের নাম আর পদবী কখনো ব্যবহার করবি না। নিজেকে কখনো ডাক্তার বলে জাহির করবি না।’ তারপর সূর্যকে একের পর এক চড় মারতে থাকেন। এই দৃশ্য দেখে সূর্যর অনুরাগীদের কষ্ট হলেও, আর এক অনুরাগীরা বলছেন ঠিক হয়েছে। কারণ তারা মনে করেন দীপার জীবনের ভিলেন তো সূর্যই।