Neem Phooler Madhu : বর্তমানে বেশ রমরমিয়ে চলছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’। অভিনেতা রুবেল দাস এবং পল্লবী শর্মা অভিনীত এই ধারাবাহিক সকলের মন কেড়ে নিয়েছে। তবে শুধু যে পর্ণা -সৃজনের গল্প এখানে দেখানো হচ্ছে তা নয়। প্রত্যেকটা চরিত্রেরই রয়েছে আলাদা আলাদা কাহিনী। প্রত্যেকটা চরিত্র কোথাও না কোথাও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এতদিন আমরা পর্ণাকে প্রতিবাদী হিসেবে দেখেছি।
কিন্তু পর্ণার থেকেও আর এক প্রতিবাদী চরিত্রকে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে ধারাবাহিকে চলছে রুচিরা এবং চয়নের ট্র্যাক। এতদিন আমরা দেখেছি বিয়ের পর থেকে পর্ণাকে কত রকম অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। পর্ণা সবকিছুই সহ্য করেছে, কিন্তু তার সাথে সাথে করেছেন প্রতিবাদ। নিজের বুদ্ধি দিয়ে সবটা বিচার করেছেন।
পর্ণাই দত্ত বাড়ির প্রথম ব্যক্তি যাকে বিয়ের পর থেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। পর্ণার পর আসে তার কাকিশাশুড়ি। তিনি শুধু কথাই শুনেছেন কোনো প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু এরপর দত্ত বাড়িতে এসেছে পর্ণার বন্ধু রুচিরা। এতদিন রুচিরাকে আমরা শান্ত স্বভাবের দেখে এসেছি। সেরকম কোনো প্রতিবাদ করতে দেখিনি। রুচিরাকে বিয়ের আগেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে।
কিন্তু সেরকম ভাবে প্রতিবাদী হতে দেখা যায়নি। এবার তার সেই সত্তার পরিচয় পাওয়া গেল। রুচিরা বারবার চয়নের বাবাকে চা দেন, আর চয়নের বাবা বারবার চা খেয়ে বলেন চা খারাপ হয়েছে। আবার চা বানাতে বলে। রুচিরা জানিয়ে দেয়, ‘আমি আর চা বানাতে পারব না।’ চয়নের বাবা আর পর্ণার শাশুড়ি জানায়, কী সাহস। তখন রুচিরা জানায়, ‘সাহস কিনা জানিনা, কিন্তু মুখ বুজে সহ্য করার মেয়ে আমি নয়।
আমি কি চা বানাতে জানিনা। আমি যদি আবার চা বানিয়ে আনি, আবার বাবা খারাপ বলবেন’। রুচিরার এই প্রতিবাদী রূপ দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। পর্ণা অনেক সময় এইরকম জিনিস মেনে নিয়েছে, রুচিরা এই জিনিস মেনে নেয়নি। সে তার শ্বশুর মশাইয়ের ভুল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দর্শকদের পছন্দের মানুষ হয়ে উঠছেন রুচিরা।