Sabitri Chatterjee : বাংলা সিনেমা (Bengali Movie) জগতের কিংবদন্ডী অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ৮৬ বছর বয়সেও তিনি সমান তালে সিনেমা, সিরিয়াল সবই করে যাচ্ছেন। অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সম বয়সী অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীই পরলোকগমন করেছেন। তাঁর সমবয়সী অভিনেত্রীরা অনেকেই সুখে শান্তিতে চুটিয়ে সংসারও করেছেন, কিন্তু তিনি পারেননি। অভিনেত্রী মনেপ্রাণে চাইতেন মহানায়ক উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar)।
উত্তম কুমারের সাথে অনেক নায়িকার নাম জড়িয়েছে। কখনো সুচিত্রা সেন আবার কখনো সুপ্রিয়া দেবী। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে বিয়ে করেছিলেন গৌরী দেবীকে। গৌরী দেবীর পর টাকার বিনিময়ে বাধ্য হয়ে বিয়ে করছিলেন সুপ্রিয়া দেবীকে। এই তিনজন মানুষ ছাড়াও উত্তমকুমারের জীবনে ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন আলাদা ভাবে।
উত্তম বাবু এত নারীতে আসক্ত থাকলেও, তিনি কখনো মেনে নিতে পারেননি তাঁর সাবু অন্য পুরুষে আসক্ত হোক। অন্য কারোর সাথে সংসার করুক। তবে উত্তম ছাড়াও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে এসেছিলেন আর এক পুরুষ। সেই পুরুষ উত্তমকুমারের মতো অতটাও খ্যাতি লাভ করতে পারেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি সাবিত্রীর মণিকোঠায় আটকে ছিলেন। তিনি হলেন সর্বেন্দ্র সিং (Sarbendra Singh)।
কিন্তু সেও আর রইল না । কারণ উত্তম কুমারের মতো তিনিও ছিলেন বিবাহিত। সাবিত্রী চাননি কখনো কারোর সংসার ভাঙুক। আর তাই তিনি তাঁর সাথে গেলেন না। সর্বেন্দ্র নেশায় বুঁদ হয়ে দিনরাত তাঁর বাড়িতেই পড়ে থাকতেন। একটা সময় সর্বেন্দ্রর পেটে অসহ্য যন্ত্রনা হতে থাকে। আর তার জন্য তিনি অনেক রকম চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
মুম্বাইয়ে হয়েছিল অস্ত্রোপচার। অভিনেত্রীর ইচ্ছা ছিল প্রেমিকের সাথে যাওয়ার। কিন্তু তিনি যেতে পারেননি, সঙ্গে গিয়েছিলেন সর্বেন্দ্রর স্ত্রী। তবে সর্বেন্দ্রকে স্বামী হিসেবে মেনেছিলেন সাবিত্রী। নিজের আত্মজীবনী ‘সত্যি সাবিত্রী’- তে উল্লেখ করেছিলেন সর্বেন্দ্রর নাম। হয়তো মালা পড়ে, সাত পাকে বাঁধা পড়ে, সিঁদুর দান করেননি। তবে মনে প্রাণে সর্বেন্দ্রকেই মেনে নিয়েছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু সর্বেন্দ্রর মৃত্যুতে এই সাবিত্রীকেই কাছে ঘেঁষতে দেননি কেউ।