Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ তে চলছে মহা জমজমাট পর্ব। সবসময় সত্যের জয় হয় একথা সবসময় প্রমাণিত। আর এই ধারাবাহিকেও সেটাই প্রমাণিত। পরাগ, পলাশ, প্রিয়াঙ্কা, প্রতীক্ষার মিথ্যা সবার সামনে প্রকাশ পেল, মিথ্যার হার হল। আর সত্য শিমুলের জয় হল। শিমুলকে প্রথম থেকেই সহ্য করতে পারেনি পরাগ, পলাশরা।
তাই তারা চেয়েছিল শিমুল বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাক। কিন্তু কীভাবে বাড়ি থেকে বের করবে ? সেই ছক কষে ওরা। শতদ্রুকে বাড়িতে এনে শিমুলের সাথে শতদ্রুর মিথ্যা বদনাম রটায়। সবার কাছে তারা এটাই বোঝায়, শিমুল প্রতীক্ষার সমস্ত গয়না শতদ্রুর কাছে দিয়ে দুজনে পালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু সত্যিই যে শিমুল এমনটা চায়নি, আর সেটাই প্রমাণ করল সে।
ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, মিথ্যা চুরির অপবাদে শতদ্রুকে হাজতে বাস করতে হয়। কিন্তু শতদ্রু নির্দোষ , শিমুল তাকে হাজত থেকে বের করে আনে। এরপর আসল অপরাধী কে? সেটা খুঁজতে শিমুল থানায় ডায়েরী করে। পুলিশ অপরাধী খুঁজতে সবার আঙুলের ছাপ নিয়ে যায়। হাতের ছাপের রিপোর্ট আসার পর পুলিশ পলাশদের বাড়ি হাজির হয়।
পুলিশ জানায়, ‘ চাবি আর গয়নার বটুয়াতে শিমুল ব্যানার্জীর হাতের ছাপ পাওয়া গেছে, সঙ্গে আর একজনের হাতের ছাপ পাওয়া গেছে, তিনিই হলেন আসল কালপিট। প্রিয়া দাস’। পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ প্রিয়াঙ্কা। এরপর পুলিশ তাকে অ্যারেস্ট করার কথা বলে। এর পাশাপাশি পরাগকেও অ্যারেস্ট করার কথা জানায়। পরাগ আর প্রিয়াঙ্কাকে হোমে রাখা হবে। তারপর কোর্টে তোলা হবে।
কোর্টে কেস জিতলে ওদের শাস্তি মকুব হবে, আর হারলে ওরা জেলে থাকবে। এই কথা বলে পুলিশ ওদের নিয়ে যায়। প্রিয়াঙ্কা শিমুলের কাছে আর্জি জানায়, ‘আমার এখনো বিয়ে হয়নি, বাড়ি থেকে সম্বন্ধ দেখছে, আমাকে ছেড়ে দাও শিমুল দি’। কিন্তু শিমুল তাতে রাজি হয় না। এরপর পরাগ আর প্রিয়াঙ্কার কি হতে চলেছে তার জন্য দেখতে থাকুন আগামী এপিসোড।