Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। শিমুলের সাথে এই ধারাবাহিকে ঘটে চলা বহু ঘটনার সাক্ষী বাস্তবে বর্তমান। যারা এই সিরিয়ালের গল্পকে বাস্তব বলে চিহ্নিত করেছেন। শিমুল চরিত্রের মধ্যে দিয়ে বহু মানুষ তাদের প্রেরণা তাদের বাঁচার পথ খুঁজে পাচ্ছেন। একদিকে যেমন শিমুলের সাথে তার ননদ ও শাশুড়ির একটা বন্ডিং দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে, আবার পাড়ার কিছু বউ যারা নিজেদের বেঁচে থাকার একটা রসদ খুঁজে পেয়েছে কিছু বন্ধুর সাথে। বিপাশা, সুচরিতা, শীর্ষা এরা প্রত্যেকে কোনো না কোনোভাবে শিমুলের সাথে নিজেদেরকে জুড়তে পারেন। আর তাই তারা একে অপরের সুখের-দুঃখের প্রাণের বন্ধু হয়ে উঠেছে। শিমুলের সব বিপদে তারা পরিবারের মত ছুটে গেছে।
ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প অনুযায়ী, পরাগ আর শিমুলের ডিভোর্সটা হয়ে গেছে। আর এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল পরাগ। শিমুলের সাথে ডিভোর্স হতেই পরাগ প্রিয়াকে বিয়ে করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। পরাগের মায়ের সম্মতি না থাকলেও আপত্তি করতে পারেননি। তবে শুরু থেকেই প্রিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে সে কাউকেই ভালোবাসেনা না পুতুল আর না মধুবালা।
আশীর্বাদের দিন পুতুল প্রিয়াকে কথা শোনালে প্রিয়া আর তার মা মিলে মধুবালাকে বলেন, আপনি ঠিক করে মেয়েকে শিক্ষা দিতে পারেননি। এই মেয়ের তো এখানে থাকাই উচিত নয়। ওকে হোমে পাঠানোই উচিত। ওখানেই ও ঠিক শিক্ষা পাবে। যদিও মধুবালা এই কথার প্রতিবাদ করেছিলেন। কারণ এখনও তার বাড়ির উপর তার অধিকার আছে।
অন্যদিকে, পরাগের আশীর্বাদে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। প্রিয়াঙ্কার অসাবধানতায় তার শাড়িতে আগুন লেগে যায়। কিন্তু, সে আগুন কেউ নেভানোর চেষ্টা না করে নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পরে। সেই মুহূর্তে শিমুল ছুটে এসে প্রিয়াঙ্কার গায়ের আগুন নেভায়। যা দেখে সবাই অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকতে পারলেও প্রিয়াঙ্কার বাবা পারেননি। তিনি শিমুলকে ‘খাঁটি হিরে’ বলে সম্বোধন করেন। শুধু তাই নয় তিনি প্রিয়াঙ্কার হয়ে শিমুলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন।