Chandan-Anindya : একটা ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকারাই শুধু জনপ্রিয় হননা। ধারাবাহিকের আরও পারিপার্শ্বিক চরিত্র রয়েছে। যেগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেগুলো রয়ে যায় চিরকাল। সেগুলো দর্শকদের মনে আজীবন রয়ে যায়। তেমনই দুই চরিত্র হল চন্দন সেন (Chandan Sen) ও সোলাঙ্কি রায় (Solanki Roy) এবং কৃষ্ণকিশোর মুখার্জী (Krishna Kishore Mukherjee) ও তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)। এই দুই চরিত্র দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে।
প্রফেসর চন্দন সেন কে দেখা গেছে স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে নদী’ (Ichche Nodee) তে। ১৫ ই জুন ২০১৫ তে এই ধারাবাহিকের সূচনা ঘটেছিল, ধারাবাহিক শেষ হতে দেখা যায় ২৮ মে ২০১৭ তে। ধারাবাহিকটি একটি ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে গঠিত। মেঘলা ও তিতি দুই বোন। মেঘলা যা পছন্দ করে দিদি তিতিও সেটাই পছন্দ করে। সেইমতো মেঘলার স্বামী অনুরাগকেও তিতির পছন্দ।
মেঘলা আর তিতিরের বাবা প্রফেসর চন্দন সেন। বাবা হিসেবে তিনি খুবই সৎ এবং আদর্শ। বড় মেয়ে দোষ করছে, কিন্তু বাবা হিসেবে তিনি সেটা মেনে নেননি। বরং তিনি সবসময় সত্যের পাশে থেকেছেন। এমনকি একজন বাবা হিসেবে যা যা করা উচিত তিনি সেটাই করেছিলেন। প্রফেসর চন্দন সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা চন্দন সেন। তাঁর অভিনয় মানুষ আজও ভুলতে পারেননি।
অন্যদিকে অনিন্দ্য রায়, এই চরিত্রকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকের এই চরিত্রটি এত সুন্দর যা সকলের মন ছুঁয়ে যায়। একেবারে সোজাসাপ্টা কথাবার্তা, কোনো অতিরঞ্জিত বিষয় নেই, যা দেখে কখনোই মনে হয়নি তিনি অভিনয় করছেন। একজন বাবা হিসেবে তাঁর যা যা কর্তব্য তিনি সেটাই করেছেন। প্রফেসর চন্দন সেনের মতো অনিন্দ্য রায়ও অন্যায়ী মেয়ের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি, বরং শাসন করেছেন।
এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা কৃষ্ণকিশোর মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিনয় সম্পর্কে আর কি বলব, যারা দেখেন তারাই বুঝতে পারেন, কতটা সুন্দর। দুজনেই খুব বড় মাপের অভিনেতা। আর তাই তো জি এবং স্টার দুই চ্যানেলের মধ্যে সেরার সেরা বাবা কারা? এই প্রশ্নের উত্তরে দর্শকরা যোগ করেছেন প্রফেসর চন্দন সেন এবং অনিন্দ্য রায়কে। এই দুই বাবা চিরন্তন।