Neem Phooler Madhu : ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’ এই কথাটা প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত প্রযোজ্য। প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে এই দৃশ্য দেখা যায়। আর বাস্তবের কাহিনী নিয়ে যেহেতু ধারাবাহিক তৈরি হয়, তাই প্রত্যেকটা ধারাবাহিকেই এই কাহিনী পরিলক্ষিত হয়। এই কথার পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)।
এই ধারাবাহিকে দেখা গেছে পরিবারের মানুষই পরিবারের ক্ষতি চায়। পর্ণা যতই পরিবারের মঙ্গল চান না কেন তার জা মৌমিতা সবসময়ই তার ক্ষতি চায়। পর্ণা একটি ক্যালেন্ডার শ্যুটের পরিকল্পনা করে, আর সেই শ্যুটের যে ফটোগ্রাফার ছিল, তাকে পরিকল্পনা করে সরিয়ে দেয় মৌমিতা আর ইশা। কিন্তু পর্ণা তো হেরে যাওয়ার পাত্রী নয়, তার দৌলতে সব ঠিকঠাক হবে।
পর্ণা আর রুচিরার চেনাজানা একজন ব্যক্তিকে দিয়ে তাদের এই কাজটা পরিপূর্ণ করে। সেই ব্যক্তি হল পর্ণা আর রুচিরার বন্ধু জিনিয়ার দাদা। দাদা হলেও তিনি রুচিরা আর পর্ণার বেশ ভালো বন্ধু। এই অনুভবের সাথে ইশার একটু ঝামেলা ছিল। ইশা অনুভবকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু অনুভব সেটা গ্রহণ করেনি।
এদিকে ইশার প্ল্যান সাকসেসফুল না হওয়ায় ইশা আবার নতুন পরিকল্পনা করে। সে এবার ছদ্মবেশে উপস্থিত হয় দত্ত বাড়িতে। দূর থেকে নয়, নিজে হাতে সামনাসামনি সব পরিকল্পনা নষ্ট করবে। এদিকে মৌমিতাও একটা নতুন প্ল্যান ফাঁদে সমস্ত জামাকাপড় লুকিয়ে রাখার। কিন্তু পর্ণা আর রুচিরা মৌমিতাকে ধরে ফেলে আবারও তাদের সমস্ত পরিকল্পনা মাঠে মারা যায়।
এরপরে সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে বেশ ভালো ভাবে ক্যালেন্ডার শ্যুট হল। সকলেই বেশ সুন্দরভাবে সাজগোজ করে সকলের সামনে উপস্থিত হয়। তাদের এবারের থিম ছিল ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’। সব পার্বণের পোশাক মিলবে এই শাড়ির কথাতে। গতবারের মতো এবারও হিট শাড়ির কথা। নাচে গানে খাওয়াদাওয়ায় মেতে উঠল দত্ত পরিবার।