মালদার গর্ব সাগর পাসওয়ান! পুষ্পা ছবির নেপথ্যের ‘VFX’ শিল্পী পাড়ি দিতে চলেছেন হলিউডে

মধ্যবিত্ত ঘরগুলিতে নিঃশব্দে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার গল্প যেমন নিত্যদিনের তেমনই কিছু গল্প আবার সফলতার আছে। লড়াই করে নিজের স্বপ্নের পথ মসৃন করতে সক্ষম হয়েছেন আজ

Desk

malda resident south indian industry vfx artist sagar paswan going to work hollywood

মধ্যবিত্ত ঘরগুলিতে নিঃশব্দে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার গল্প যেমন নিত্যদিনের তেমনই কিছু গল্প আবার সফলতার আছে। লড়াই করে নিজের স্বপ্নের পথ মসৃন করতে সক্ষম হয়েছেন আজ এমন একজনের কথাই জানবেন। ছেলেটি মালদা জেলার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। নাম সাগর পাসওয়ান (Sagar Paswan)। ভিএফএক্সে (VFX) নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে সে ধীরে ধীরে নিজের স্বপ্ন সত্যি করতে এগিয়ে চলেছে।

পুষ্পা (Pushpa: The Rise) বর্তমানের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের একটি। যা বক্স অফিসে কয়েক কোটি টাকার মুনাফা অর্জন করেছে সেই ছবির সংলাপ এখনো লোকের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুষ্পার গানে কোমর দোলাচ্ছে ছোট থেকে বড়ো সকলেই। সেই পুষ্পা ছবির পিছনে একটা বড়ো অবদান ছিল এই মালদার মাত্র ২৩ বছর বয়সী সাগর পাসওয়ানের (Sagar Paswan)। পুষ্পা ছবিতে দুর্দান্ত ভিএফএক্স (VFX) এর কাজ করেছে সাগর।

malda resident south indian industry vfx artist sagar paswan going to work hollywood

ভিএফএক্স শিল্পী মালদার সাগর পাসওয়ানের যাত্রা (Malda Town VFX artist Sagar Paswan’s journey)

আর শুধু পুষ্পাতেই নয় সাথে ‘বাঙ্গারাজু’,  ‘সনক’,  ‘হিরোপান্তি ২’ এর মতো ছবিতেও ভিএফএক্স এর অসাধারণ কাজ করেছে সাগর। ,তিনি অনেক দিন ধরেই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় (South Indian Industry) ও হিন্দি সিনেমায় (Bollywood Industry) নেপথ্যে কাজ করছেন। তার এই অসাধারণ কাজ আজ তাকে পৌঁছে দিতে চলেছে বড়ো লক্ষ্যে। এবার হলিউডে (Hollywood) কাজ করতে চলেছেন সাগর। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

malda resident south indian industry vfx artist sagar paswan going to work hollywood

তার একটি সাক্ষাৎকারে একবার সে তার এই কর্মজীবনে প্রবেশের কোথায় বলেছিল, সে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তার বাবা,মা, ভাই আর সে একটি ছোট্ট পরিবার মালদায় বসবাস করেন। ছোট থেকেই অ্যানিমেটেড ছবি দেখতে দেখতে তার মনে অ্যানিমেশন (Animation) নিয়ে কিছু করার ইচ্ছা জেগে ওঠে। সে সেই স্বপ্নের লালন শুরু করে নিজের মনে। এরপর মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে অ্যানিমেশন নিয়ে মালদার একটি কলেজে পড়াশুনা চালু করেন।

আরও পড়ুনঃ সংগীতশিল্পী কেকে কে শ্রদ্ধা তিলোত্তমার! নন্দনে শতকণ্ঠ একসাথে গেয়ে উঠলো তার শেষ গান

সেখানে প্রথম একটি বিজ্ঞাপনের অ্যানিমেশন বানিয়ে প্রশংসা পান তিনি। তারপর মুম্বাই হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পরীক্ষা দিতে দিতে সুযোগ পেতে যান তারপর ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিতে থাকেন ভিএফএক্স এর দুনিয়ায়। তার স্বপ্ন সে একদিন ভিএফএক্সে সুপারভাইজার হবে। তার পরিশ্রম তাকে আরো সফলতা দিক এটাই কাম্য।

Related Post