সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতে হয়, এ কথা সকলেই জানে। আর সেটাই ঘটতে চলেছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) তে। বাড়ির প্রায় কমবেশি লোকেরা চায়, পর্ণা সৃজন আলাদা হোক। ইশাও চায় সেটা। আর সেটাই দেখাতে চাইছে পর্ণা। পর্ণা চাইছে আর সকলে যেটা চাইছে সেটাই সে করতে চাইছে।
পর্ণা আর সৃজন দুজনে মিলে একটা পরিকল্পনা করেছে, শত্রু যেটা চাইছে সেটাই হবে। উপরে দেখানো হবে পর্ণা আর সৃজনের ঝামেলা চলছে, বিচ্ছেদ চলছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অন্যরকম, কিছুই হয়নি তাদের মধ্যে। কারণটা হল এর মাধ্যমে আসল দোষীদের মুখোশ খোলা সহজ হবে। আর ঠিক সেটাই হল। পর্ণা দত্ত বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
সৃজন পর্ণার বিচ্ছেদ দেখে খুব খুশি মৌমিতা। মৌমিতা সঙ্গে সঙ্গেই এই খুশির খবর ইশাকে বলে। এই খবর শুনে ইশাও আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। সৃজন এই কথা আড়াল থেকে শুনে নেয়। ভাবে আবারও আমাদের সর্বনাশ করছে। এতকিছুর পরও শিক্ষা হয়নি। আবার সর্বনাশের খেলায় মেতে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার যোগ্য নয়’, ‘সন্ধ্যাতারা’ নিয়ে ক্ষুব্ধ অমৃতা? অভিনেত্রীর পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য নেটপাড়ায়
সৃজনও সঙ্গে সঙ্গে পর্ণাকে ফোন করে সবটা জানায়। ঠাম্মি তার নাতবৌকে ছাড়া চলেনা। আর তাই ঠাম্মি নির্দেশ দেয়, পর্ণাকে বাড়ি ফেরাতে হবে। কিন্তু সৃজনের মা আপত্তি জানায়। বাড়ির বাইরে আছে বাড়ির বাইরেই থাক, ওর আসার কোনো দরকার নেই। ও এলেই অশান্তি হবে। কিন্তু পর্ণা তো সত্যি সত্যি বাড়ি ছেড়ে যায়নি। সে তো ফিরে আসবেই।
সৃজনের মায়ের আশা আর পূরণ হলনা। পর্ণা অনুভবকে নিয়ে আর উকিলকে নিয়ে দত্ত বাড়িতে হাজির হয়। পর্ণা এসে দাবি করে শাড়ির কথার ভাগ চাই। সৃজন কাগজপত্রে সই করিয়ে দিয়ে দেয়। সকলেই পর্ণাকে খারাপ ভাবে। পরে সৃজন তার বাবাকে বুঝিয়ে বলে। এই শুনে সৃজনের বাবা একটু শান্তি পায়। সৃজনের বাবা জানায়, এই কাজে সাহায্য করতে যা যা দরকার সবটাই তিনি করবেন।