Holiday Destination in Bankura : মানুষের এত ব্যস্ততা যে মানুষ সবসময় চায় চটজলদি কিছু করতে। ওই জন্যই তো দু মিনিটে ম্যাগি। কিন্তু ম্যাগি আর জীবন তো এক নয়। জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত দু মিনিটে মনঃপুত হয়না। তবে করে নিতে হয়। ‘ছুটি’ এই শব্দটা শুনলেই মনে এক অন্যরকম আনন্দ হয়।
আর এই কম সময়ের মধ্যে যদি কোথাও থেকে ঘুরে আসা যায় (Holiday Destination) তাহলে তো সোনায় সোহাগ। ডেস্টিনেশনের জন্য নো চিন্তা, আমরা তো আছি। ছুটিতে নিরিবিলিতে ঘুরে আসুন বাঁকুড়া (Holiday Destination In Bankura)। ভাবছেন বাঁকুড়ায় আবার কি আছে। আছে অনেক কিছুই। শুধু একবার গিয়েই দেখুন কি কি আছে।
কোরা পাহাড় : এই পাহাড়ের আশেপাশে নেই শহরের কোলাহল। জায়গাটা খুবই নিরিবিলি। এই পাহাড়ের মাথা থেকে দেখা যায় সূর্যাস্ত। পাহাড়ের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করলে ভাষা কম পড়বে। পাহাড়ের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শালি নদী। উপরে রয়েছে অষ্টভুজা পার্বতীর মন্দির। এই মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম। চারপাশে বিরাজ করে শান্তি।
কীভাবে যাবেন?
যেতে পারেন লং ড্রাইভে। কলকাতা থেকে ১৯ নং জাতীয় সড়ক ধরে।
আরও পড়ুনঃ সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ, বর্ষা উপভোগ করতে কলকাতাতেই ঘুরে আসুন এই ৫ জায়গায়! রইল ঠিকানা
শিউলিবোনা গ্রাম : বাঁকুড়ার ছবির মতো একটি গ্রাম হল শিউলিবোনা গ্রাম। পড়ন্ত বিকালে উপভোগ করতে পারবেন এক সুন্দর সূর্যাস্ত। পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা আছে রাজা চন্দ্র বর্মনের প্রাচীন শিলালিপি। একেবারে এই গ্রামটিকে বলা যেতে পারে শিল্পগ্রাম।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে আসুন বাঁকুড়ার ছাতনায়। তারপর সেখান থেকে আসতে হবে শিউলিবোনা গ্রামে।
ভরতপুর : বাঁকুড়ার পটচিত্রের গ্রাম হল এই ভরতপুর। এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই চৌকো বা গোটানো ক্যানভাসের উপর ফুটিয়ে তোলেন নানা চিত্র। যে রঙ দিয়ে ছবি আঁকেন, সেই রঙ ভেষজ, নিজেরাই সেই রং তৈরী করেন। ঘুরে আসুন একবার এই রঙিন পটচিত্র গ্রামে। বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকে অবস্থিত এই গ্রাম।
সুতান ফরেস্ট : মুকুটমণিপুর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুতান ফরেস্ট। এখানে শার, সেগুন, মহুয়া আরও কত কি নাম না জানা গাছ দিয়ে ভরা এই জঙ্গল। এই জঙ্গলের মাঝেই চোখে পড়ে কুমারী নদী।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে বাসে পৌঁছতে পারবেন সরাসরি। অথবা বাঁকুড়া থেকে থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান সুতান ফরেস্ট। ঝিলিমিলি অথবা রানিবাঁধ হয়েও যেতে পারেন এই স্থানে।
রাজা চন্দ্রবর্মার শিলালিপি : প্রাচীন বঙ্গের পুষ্করণা রাজ্যের একজন রাজা ছিলেন রাজা চন্দ্রবর্মা। এই রাজার শিলালিপি পাওয়া যায় শুশুনিয়া পাহাড়ের ঠিক পিছনেই। একটু কষ্ট করে পাহাড় চড়লেই এই ঐতিহাসিক জায়গার সাক্ষী হতে পারবেন। দেখতে হলে আসতে হবে বাঁকুড়া।