Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) বহুল চর্চিত সিরিয়াল হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে কিছু অসহায় নারীর গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যাদের সরল জীবন ভাগ্যক্রমে ক্রমশ জটিল হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে যারা সর্বহারা হয়েছে। তবে একই পাড়ার কিছু বউ কিভাবে একে অপরের আপনার হয়ে উঠতে পারে, পরম বন্ধু হতে পারে, সেটা এই গল্পে বেশ সুন্দর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
শিমুল, সুচরিতা, বিপাশা, শ্রেষ্ঠা আর প্রতীক্ষা এই পাঁচ মেয়ের জীবনের ওঠাপড়া আর তার মধ্যে দিয়ে একে অপরের বন্ধু হওয়ার কাহিনী নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। যদিও প্রতীক্ষা শুরু থেকে পোস্টারে রয়েছে পাঁচ সদস্যের একজন হয়ে। কিন্তু আদৌ গল্পে তার অবস্থান বাকি চার নারীর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এখনও পর্যন্ত তাকে ভিলেন হিসাবেই দেখা গেছে এই ধারাবাহিকে। বর্তমানে, পরাগকে বিষ দেওয়ার অপরাধে প্রতীক্ষা জেলে। আর তার সাথে সাথে পলাশকেও প্রায় আর দেখাই যাচ্ছেনা গল্পে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে পরাগের বোধদয় হয়েছে। সে এতদিনে সত্যিকারের শিমুলের সঠিক মূল্যটা বুঝেছে। শিমুল চলে গিয়ে যে সে জীবনে অনেক বড় কিছু হারিয়েছে তা হারে হারে টের পাচ্ছে পরাগ।
আরও পড়ুনঃ চলতি ধারাবাহিক থেকে ফের মুখ্য চরিত্রের বদল! দুর্দান্ত টুইস্ট সিরিয়ালে
তবে শিমুল এখনও পর্যন্ত তার সিদ্ধান্তে অনড়। সে চায়না আর ফেলে আসা সংসারে ফিরে যেতে। সে আর চায়না পরাগের সাথে নতুন করে সংসার করতে। তবে মধুবালা এখনও চান যদি শিমুল ফিরে আসে? যদি সে আবার তাদের সংসারের হালটা ধরে তবে তিনি শান্তি পান। শিমুল পরাগের সংসার ছেড়ে বেরিয়েও বাঁধা পরে আছে সেখানেই। সে চাইলেও সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে পারেনি।
বারবার সে ছুটে আসে খোঁজ নিতে। এদিকে, শতদ্রুর একদমই পছন্দ নয় যে, শিমুল আর কোনো যোগাযোগ রাখুক পরাগের সাথে। কিন্তু শিমুল পারেনি। তার কথায় সে পারবেওনা। তাদের প্রয়োজনে, বিপদে সে বারবার ছুটে আসবে এই বাড়িতে। সম্প্রতি, সিরিয়ালে দেখা গেছে শিমুলের মত বিপাশাও হয়েছে ঘরছাড়া। তার ঘর ভেঙেছে। সে নিজের ভাঙা মন নিয়ে নিজেকে গোছানোর জন্য অনত্র ঘর খুঁজছে।
আরও পড়ুনঃ শুরুর আগেই শেষ! মায়ের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি বর্ষা, ফাঁস দারুন টুইস্ট পর্ব
এতদিন, শিমুল বিপাশার বাড়িতেই থাকত। তাই বিপাশার সাথে সাথে শিমুলও এখন ঘরহারা। তারা সুচরিতাদের বাড়িতে ঘরভাড়ার জন্য গেলেও সুচরিতার শাশুড়ি তাদের মুখের উপর না করে দিয়েছেন। তাই শিমুল উপায় না পেয়ে ছুটে এসেছে মধুবালার কাছে। শিমুল মধুবালাকে জিজ্ঞেস করে। তিনি তাকে আর বিপাশাকে ঘরভাড়া দেবেন কিনা। মধুবালা যেন হাতে চাঁদ পেয়ে যান। তিনি না করার কথা ভাবতেই পারেননা। এবার দেখার এখান থেকেই কি আবার শিমুল আর পরাগের সম্পর্কের নতুন সূত্রপাত হবে?