Anurager Chowa : স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ আবার ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। সূর্য-দীপা এখন দুই ভিন্ন পথের যাত্রী। তাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে আরও দুটো জীবন। সূর্য পরিস্থিতির চাপে পড়ে ইরাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে, মেয়েকে বাঁচাতে দীপাকে অর্জুনকে বিয়ের জন্য রাজি হতে হয়। তবে অর্জুন দীপাকে কখনই জোর করে বিয়ে করতে চায়নি।
দীপার পরিস্থিতি সবসময় বুঝে এসেছে অর্জুন। তাই বিয়ের মত একটা সিদ্ধান্ত নিতে দীপাকে সাহায্য করেছে অর্জুন। সে দীপাকে মন্দির অবধি নিয়ে গিয়েও বিয়েটা শেষমেষ করেনি। তবে রুপাকে আর পরিবারের সকলকে তারা বিবাহিত একথা বিশ্বাস করতে দীপা নিজের সিঁথি রাঙিয়ে নিয়েছে নিজেই। যার সাক্ষী সেই মন্দিরের পুরোহিত, ভগবান আর দীপার জন্মদাতা।
সবটা জেনেও তারা কেউ মুখ খুলতে পারেননি। দীপার বাবা দীপা আর অর্জুনের কথাটা বুঝেছে। তাই আর কাউকে সত্যিটা তিনি জানাননি। এদিকে, রুপার অতিসত্তর অপারেশনটা দরকার। রুপাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছনোর সময় সূর্য তাদের দেখে ফেলে। তার মনে আবারও সত্যিটা জানার উৎসুকতা জাগে যা সে নিজের দোষেই জানতে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ ‘এই বিয়ে হবেনা’, বর্ষার বিয়ে আটকে পিকলুর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দিল পর্ণা! ফাঁস ধামাকা পর্ব
রুপার সব থেকে কঠিন সময়ে বাবা হিসাবে সে পাশে থাকতে পারেনি। বার বার ভুল বুঝে অভিমানে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে সূর্য। যার ফলস্বরূপ রুপা একেবারেই আর বাবাকে ক্ষমা করতে চায়না। সে বাবাকে শাস্তি দিতেই জেদ ধরেছিল মা যেন অর্জুনকে বিয়ে করে নেয়। রুপা লড়াই করে নিজের অসুখকে হারিয়ে ফিরে এসেছে। যার অনেকটা কৃতিত্ব অর্জুনের।
কিন্তু এই টুকু দায়িত্ব থেকেও বঞ্চিত হল সূর্য। সে নিজের কিছু ভুল ধারণা নিয়ে যখন অভিমানে ব্যস্ত তখন তার ছোট্ট মেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গেল। বাবাকে কাছে চেয়েও রুপা পেলনা। সূর্য রুপার ব্যাপারে জানতে শেষ মুহূর্তে তবলাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিল। কিন্তু তবলা তাকে জানায়নি। সূর্য যে বারবার ভুল করেছে। তাই তার আর জানার কোনো প্রয়োজন নেই মনে করেই তবলা সূর্যকে অন্ধকারেই রেখে দেয়।