Phulki : সিরিয়াল প্রেমীদের পছন্দের ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ফুলকি’। পর্দায় রোহিত-ফুলকির রসায়ন দেখতে বেশ পছন্দ করেন অনুরাগীরা। প্রথমদিন থেকেই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। সেই প্রথম দিনের মতোই এখনও ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকটি দেখতে বেশ পছন্দ করেন সিরিয়াল প্রেমীরা। তাই তো প্রতি সপ্তাহে টিআরপি’তে এক থেকে পাঁচের মধ্যে রাজত্ব করে ফুলকি-রোহিত।
চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ধারাবাহিক। এখন ধারাবাহিকটি তে দেখানো হচ্ছে ফুলকি-রোহিতের বিয়ের এপিসোড। ধারাবাহিকটি শুরুর প্রথমে দেখা গিয়েছিল জেঠুমণির ইচ্ছে তে ফুলকিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল রোহিত। কিন্তু এবারে আর সে রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এবার নিজের ইচ্ছে তে ভালোবাসার রঙ দিয়ে ফুলকির সিঁথি রাঙিয়ে দেয়। বাড়ির সকলের সামনে স্ত্রীর মর্যাদা দেয় ফুলকিকে। এখন জি বাংলার সন্ধ্যা বেশ জমজমাট।
ফুলকি ৫ জুলাই পর্ব : বৌভাতের দিন দুপুর বেলাতে বাড়ির সকলকে নিজের হাতে পোলাও রান্না করে খাওয়ায় ফুলকি। পোলাও খেয়ে সকলে ফুলকির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এরপরই ফুলসজ্জার ঘরে ঢুকে যায় রোহিত ফুলকি। তবে স্বামীর ভালোবাসা পাওয়া হল না ফুলকির। কারণ হঠাৎ করেই বজ্রপাত সহ তুমুল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় বাইরে। এরপরই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ফুলকি আর রোহিত। সবাই বুঝতে পেরে যায় যে ঝড় আঁচড়ে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
বাইরের পরিস্থিতি খারাপ দেখে ফুলকি জেঠুমণিকে বলে, বাইরের সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা উচিত। ফুলকির কথার সহমত হন এবং বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেঠুমণি। সাথে রোহিত, পিয়াল ও তমাল কে নেয়। আর তখনই ফুলকি ও যাওয়ার জন্য জেদ ধরে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে জেঠুমণির মনে, এতগুলো মানুষ না খেয়ে রয়েছে। মাথায়, ছাদ নেই, পেটে ভাত নেই, চলবে কি করে?
আরও পড়ুনঃ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ছেড়ে নতুন প্রোজেক্টে অভিনেতা, ধারাবাহিকে আর দেখা মিলবেনা? উদ্বিগ্ন দর্শক
বন্যায় দরিদ্রর পাশে দাঁড়ায় ফুলকি : বন্যায় মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফুলকি। জেঠুমণিকে সে জানায় তাদের ঝটপট খিচুড়ি মিক্স-এর প্যাকেট এখনও বেশ কয়েকটা রয়েছে। এই গুলোই রান্না করে বন্যায় বিপর্যস্ত পরিবার মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই তমজিৎ জানায় বাইরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। কথাটা শুনে সবাই বাইরে বেরিয়ে পড়ে। তখনই ওপর থেকে নেমে আসে ঈশিতা। সে জানায় সেও যাবে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে। যদিও পাত্তা মেলেনি রুদ্রর।