‘জোর করে উঠিয়ে দেওয়া হল ডালহৌসির ভাতের হোটেল’! কি বললেন নন্দিনী দিদি

Nandini Didi’r Hessel: নন্দিনী দিদি, বর্তমানে এই নামটার সাথে কম বেশি অনেকেই পরিচিত। করোনাকালে যখন মানুষ ঘরবন্দি হচ্ছিল সেইসময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কলকাতার ডালহৌসির ফুটপাতে

Nandini

nandini didi openup after her buisness shut down in dalhousi

Nandini Didi’r Hessel: নন্দিনী দিদি, বর্তমানে এই নামটার সাথে কম বেশি অনেকেই পরিচিত। করোনাকালে যখন মানুষ ঘরবন্দি হচ্ছিল সেইসময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কলকাতার ডালহৌসির ফুটপাতে একটি খাবারের দোকান। যেখানে খুব কম দামে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছিলেন এই নন্দিনী দিদি। ধীরে ধীরে ফুড ব্লগার ও ইউটিউবারদের সুবাদে নন্দিনী দিদি সকলের কাছে পরিচিত হতে থাকে।

তার খাবারের সুখ্যাতিও লোকের মুখে শোনা গিয়েছিল আবার তার ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন এমন মানুষও দেখা গিয়েছিল। যদিও যেকোনো কিছুরই দুটো পিঠ থাকে। একটা ভালো একটা খারাপ। তবে শুধু এই ব্যবসাতেই আবদ্ধ ছিলোনা নন্দিনী দিদির গল্প। তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সম্প্রতি সে একটি সিনেমাতেও অভিনয় করে ফেলেছে।

two sister's hotel challenge nandini didi

ব্যবসায় লাভবান হলে ডালহৌসি ছেড়ে নিজের একটি রেস্তোরা খোলেন তিনি। কলকাতার নিউটাউনের বুকে। তার নাম রাখেন ‘নন্দিনীদির হেঁশেল’। তবে আচমকাই নন্দিনীদিদির ব্যবসায় পড়ল তালা। ডালহৌসির যে ফুটপাতে খাবারের দোকানে সাধারণ মানুষ আর ইউটিউবারদের ভিড়ে গমগম করত আজ সেখানে নেই কোনো দোকান। একেবারে নিশ্চিন্ন সব।

কেন বন্ধ করতে হল ডালহৌসির ভাতের হোটেল? উত্তরে নন্দিনী জানান, ‘বলতে পারো জোর করা হয়েছে। আমার বলার কিছুই নেই। আমার বাবাকে ভাড়ায় দিয়েছিল। বাবা লকডাউনের আগে নিয়েছিল। নিজের জিনিসে প্রভাব খাটানো যায়। অন্যের জিনিসে যায় না। এছাড়া ওখানে আর মা-বাবাকে কতদিন রাখতাম। মাথার উপরে ছাদ ছিল না। আর ব্যবসার কথা বললে, এখানে আরও বেশি রোজগার হচ্ছে।’

যদিও নিন্দুকদের একাংশের মতে, ‘ফুটপাতে দোকান কোথায় সাধারণ অসহায় মানুষ একটু কম পয়সায় খাবে তা না, খালি বড় বড় কথা, দাম বাড়িয়েই চলেছে, ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য’। আরেক জন লিখলেন, ‘নিউটাউনে দোকান এখন কিন্তু চলে না, কারণ প্রচুর দাম নেয়। অথচ আশেপাশে প্রত্যেকটা দোকান রমরমিয়ে চলে। ডালহাউসিতে যখন দোকান ছিল সাধারণ মাছ ভাতের দাম নিতো ৮০ টাকা। ওর ঠিক পাশের দোকানে ৪৫ টাকা। এটা কি মানা যায়?’

× close ad