Ke Prothom Kachhe Esechhi : জি বাংলায় (Zee Bangla) বিগত প্রায় ১ মাস যাবৎ শুরু হওয়া সিরিয়াল ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকমনে। ছোট্ট মিহির আধো আধো কথা আর মোহনা-সায়নের রসায়ন পর্দায় বেশ জমে উঠেছে। সব মিলিয়ে এই ধারাবাহিক এখন বেশ জমজমাট। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে একটা টুইস্ট দেখা গেছে। কমলিনী ঋক আর মধুবনীর অনুভূতি জানতে পেরেছে।
তবে সে সকলের সামনে ভালো সেজে নিজের কার্য ঠিক সিদ্ধ করে ফেলেছে। স্নেহাকে হাতিয়ার বানিয়ে রিক আর কুশল যে একে অপরের পরিচয় গোপন করে অফিসে প্রমান জোগাড় করে চলেছে তা ধরতে পেরে যায় সে। আর তাই একেবারে মন থেকে তাদের চারজনকে মারতে প্ল্যান করে ফেলে কমলিনী।
নিজের প্ল্যান মাফিক সেনগুপ্ত বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই ঋক-মধুবনী আর কুশল-স্নেহার আশীর্বাদের আয়োজন করে। আর সেখানেই খুব নাটকীয়তার সাথে ঋক আর কুশলের পরিচয় স্নেহা আর মধুবনীর সামনে আনে কমলিনী। আর ঋক যে ভয়টা পাচ্ছিল এতদিন সেটাই সত্যি হয়ে গেল। মধুবনী তার হাত ধরার আগেই ছেড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতা আর সততার লড়াইয়ে জয় হল সত্যের, গর্ত থেকে অপরাধীকে খুঁজে বার করে ছাড়ল পর্ণা
মধুবনী মিথ্যাকে ভীষণ ঘৃণা করে। তার জীবনে একটা বড় অতীত রয়েছে যা এখনও সামনে আসেনি। ঋকও জানেনা। তবে ঋকের এই মিথ্যে মধুবনীকে তার অতীতের খারাপ স্মৃতি ফিরিয়ে দিল আরেকবার। আর অন্যদিকে, স্নেহারও মন ভেঙেছে ভীষণ ভাবে। স্নেহা নিজেকে সেনগুপ্ত বাড়ির বউ ভেবে বসেছিল। তার স্বপ্ন ভাঙাতে সেও ভীষণ আহত হয়েছে।
কমলিনী একটা চালেই চারটে জীবন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। ঋক তার মণিমার ষড়যন্ত্র ধরতে না পারলেও কুশল ঠিক বুঝেছে যে কমলিনী সবটা পরিকল্পনা করেই করেছে। সে কমলিনীকে মুখোমুখি প্রশ্ন করলে যদিও সে ব্যাপারটা নাটক দিয়ে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কুশল তাতে যে বিশ্বাস করেছে এমনটা নয়। এদিকে মধুবনীর প্রত্যাখ্যানে দ্বিতীয়বার মন ভাঙল ঋকের।