প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Primary TET Teacher Recruitment Scam) নিয়ে বছরের পর বছর ধরে মামলা চলছে। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের সক্রিয়তায় চাঞ্চল্যকর সমস্ত তথ্য সামনে এসেছে। এমনকি বেশ কিছু প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিও চলে গিয়েছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের (Subrata Talukdar) ডিভিশন বেঞ্চ এপর্যন্ত ২৬৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। তবে এটা অতি সামান্য মাত্র এমনকি জানা যাচ্ছে।
আগেই সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঁচে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। তবে তাঁর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI আধিকারিকদের নিয়ে একটি এসআইটি তৈরী করা হবে। তার মতে, CBI ও পর্ষদের রিপোর্ট তিনি দেখেছেন। এটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে দুর্নীতি হয়েছে।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় যে ফল প্রকাশিত হয়েছিল তাতে মোট ২৭৩ জন পরীক্ষার্থীকে ১নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও প্রশ্নে ভুল থাকার দরুন আরও ২৭৮৭ জন নাম্বার বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেখানেই মূল দুর্নীতি। কিন্তু এই সংখ্যাটা শয়ের ঘরে নয় বরং হাজারের ঘরে যেতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রমতে জানা যাচ্ছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথম প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। এরপর পরীক্ষাও হয় ২০১৫ সালের ১১ই অক্টোবর। যার ফলাফল প্রকাশিত হয় প্রায় একবছর পর ২০১৬ এর সেপ্টেম্বরে। এরপর ২০১৭ সালের ৪ই ডিসেম্বর আবারো দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়। মোট ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪২ হাজার জনকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এবার একে একে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি সামনে আসছে।
দ্বিতীয় মেধাতালিকা থেকেই ২৬৯ জন শিক্ষককে ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ৪২ হাজারের মধ্যে ১৪ হাজার শিক্ষকই দুর্নীগগ্রস্থ ভাবে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছে। আবার টেট দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের মতে সাড়ে ১৭ হাজার সংখ্যাটা নাকি আরও বাড়তে পারে!