সুখে গান, দুঃখে গান, ভালোবাসায় গান, আনন্দে গান মোদ্দা কথা জীবনের সবরকম ফিলিংসে আমরা গানের অভিভাবকত্ব অনুভব করি। আমাদের শান্তি দেয় এই গান। আর এই গানের লিরিক্স গুলোও যেন আমাদের জীবনের সাথে মিল করিয়েই লেখা হয়। তাই তো আমরা মেলাতে পারি জীবনের সাথে, তাই তো সুখে-দুঃখে এই গানকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখি। আর লিরিক্সের সাথে যদি থাকে সুরেলা কন্ঠ তাহলে সোনায় সোহাগা। আর এই সুরেলা কন্ঠের জনপ্রিয় শিল্পী হলেন বাংলার গর্ব অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)।
তাঁর গানে মুগ্ধ গোটা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। ছবি হিট হোক অথবা না হোক তিনি যে ছবিতে গান করেন, সেই ছবির গান সকলের মুখে মুখে ফেরে। ১৩ থেকে ৮৩ সকলেই তাঁর গানে মুগ্ধ। দেশজোড়া জনপ্রিয়তা হলেও জীবন যাপন একেবারে সাদামাটা। মুখ ভর্তি দাঁড়ি, উসকোখুশকো চুল। এক গাল হাসি। এই বেশেই গোটা বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন।
কখনও গিটার হাতে, কখনও পিয়ানো নিয়ে তোলেন সুরের ঝংকার। একাধিক অনুষ্ঠানে, একাধিক মঞ্চে তাঁকে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের গিটার ব্যবহার করতে। আপনারা কি জানেন এই গিটারের উপর কি লেখা থাকে? অনেকের হয়ত নজরে পরে সেই গিটারের উপরে লেখা থাকে বাংলা নাম। কোনও গিটারে লেখা থাকে ঝিলিক , কোনোটাই আবার ‘ঝোড়া’ , আবার কোনোটাতে ‘ মিঠি’।
অনুরাগীদের কৌতূহল গিটারে এমন নাম লেখার কারণ কী? অরিজিৎ সিং এর স্ত্রীয়ের নাম তো কোয়েল। তাহলে এই ‘ঝিলিক’, ‘ঝোড়া’, ‘মিঠি’ কে?
আসলে জানা যায়, গিটারের লেখা নাম গুলোর সাথে অরিজিৎ সিং এর জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। গিটারের উপরে লেখা নাম গুলি তিনিই নিজে থেকে দিয়েছেন। তাঁর কোনো গিটারকে তিনি মিঠি বলে সম্বোধন করেন, কোনোটাকে আবার ঝিলিক বলে, আবার কোনোটাকে ঝোড়ো বলে। গিটারের নাম যাই হোক না কেন। গিটারের উপরে লেখা বাংলা হরফে নাম দেখে অনুরাগীরা বেশ খুশি তাঁর বাঙালিয়ানা দেখে।